এদিকে রতনপুর এলাকার গণকবরের ওই জমির মালিক লিয়াকত হোসেন বলেন, জমিটি শুনেছি গণকবর হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে। এজন্য আমি জমিটি বিক্রিও করতে পারছি না। সরকারও জমিটি অধিগ্রহণ করছে না। এতে আমি বিপাকে রয়েছি।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মো. সোহেল রানা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকের সঙ্গেই আমাদের কথা হয়। এজন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। কিন্ত আগামি প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানা হুমকিতে রয়েছে। যুদ্ধকালীন রামগঞ্জে গণকবরগুলো এখনো চিহ্নিত করা হয়নি। যুদ্ধের ইতিহাস আগামি প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে গণকবরগুলো সরকারিভাবে সংরক্ষণের দাবি জানাচ্ছি। স্থানগুলো চিহ্নিত হলে আমরা গণহত্যা দিবসসহ বিভিন্ন সময় শহীদদের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধা জানাতে পারবো।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড আমির হোসেন জানান, যুদ্ধকালীন শত শত মানুষকে হত্যা করে রতনপুর এলাকা ডোবা ও পাশের একটি ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়। পরে সেখানেই লাশগুলো মাটি ছাপা দিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় ৫ বছর আগে ওই ডোবার একাংশে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বাকি যে অংশ এখনো খালি আছে, তা যুদ্ধের ইতিহাস হিসেবে সংরক্ষণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন।উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম রুহুল আমিনের সঙ্গে এনিয়ে কথা হয়। তিনি বলেন, রতনপুর ও ওয়াপদা সড়কের পাশে হানাদার বাহিনীরা শত শত মানুষকে হত্যা করে মাটি ছাপা দিয়ে রেখেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও ওইসব স্থান সংরক্ষণ করা হয়নি। এজন্য সরকারিভাবে দ্রুত ওই স্থানগুলোতে গণকবর স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করার দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে স্বাধীনতার ইতিহাস আগামি প্রজন্মের কাছে অজানাই থেকে যাবে।রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপ্তি চাকমা বলেন, বিষয়টি কেউ আমাকে অবিহিত করেনি। যুদ্ধকালীন গণকবরগুলো সংরক্ষণে আমাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। খোঁজ নিয়ে গণকবরগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।