নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সুনামগঞ্জের ঘটনায় আওয়ামী লীগ বলছে—এটার সঙ্গে বিএনপি জড়িত এবং অন্যান্যদের কথাও বলছে। এটা তাদের মজ্জাগত।তিনি বলেন, যখন তারা ব্যর্থ হচ্ছে প্রশাসনে, যখন তারা ব্যর্থ হচ্ছে জনগণকে নিরাপত্তা দিতে, যখন তারা ব্যর্থ হচ্ছে সম্পূর্ণভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ঠিক রাখতে; তখনই তারা এই সমস্ত ঘটনা ঘটায় এবং বিএনপিকে দায়ী করার চেষ্টা করে। প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা বিএনপিকে দেখে, বিএনপিকে ভয় পায়, বিএনপিকে নিয়ে তারা দুঃস্বপ্ন দেখে।শনিবার (২০ মার্চ) দুপুরে কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী সুনামগঞ্জের সাম্প্রদায়িক ঘটনা সম্পর্কে অবলীলায় মিথ্যাচার করে চলেছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা বিএনপিকে দেখে, বিএনপিকে ভয় পায়, বিএনপিকে নিয়ে তারা দুঃস্বপ্ন দেখে। এখানেও (সুনামগঞ্জে) তারা চেষ্টা করেছে বিএনপিকে কীভাবে চালানো যায়।এ ঘটনায় গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ দিতে চাই—তারা আজকে এর প্রকৃত চিত্রটা তুলে ধরেছেন। নোয়াগাঁওয়ের সালনার যুবলীগের যে নেতা তার সঙ্গে ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইদের কারো হাওরের বিষয় নিয়ে সমস্যা ছিল এবং তারই কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।তিনি বলেন, আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন যে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সবসময় বিনষ্ট হয়েছে আওয়ামী লীগের আমলে। আমি এই কথাটা জোর দিয়ে বলতে চাই—একটা সার্ভে করুন যে, কতজন হিন্দু সম্প্রদায়ের তাদের সম্পত্তি, তাদের বাড়ি-ঘর দখল করে আছে কারা? সেখানে বিএনপির লোককে কী তারা খুঁজে পাবে? পাবে না।দলের নেতা-কর্মীদের আন্দোলনের জন্য আরও সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা কখনো নিরাশ হইনি, আমরা হতাশ হইনি। আমরা নিজেরা সংগঠিত হচ্ছি, আমরা ১০/১৪ বছর ধরে এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমরা সবচেয়ে বেশি মূল্য দিয়েছি। আমরা এই মূল্য আরও দেবো। আমরা সংগঠিত হওয়া শুরু করেছি, আমরা যদি ঠিকমতো সংগঠিত হতে পারি তাহলে নিঃসন্দেহে এই সরকারকে পরাজিত করতে সক্ষম হবো।বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্যে অনুপ্রেরণার মানুষ। এই সংকটময় সময় কে এম ওবায়দুর রহমান সাহেব নিশ্চয়ই আমাদের সামনে একটা বাতিঘর হয়ে দাঁড়াতে পারেন। তার সময়ে তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া সম্রাটের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সহ-প্রচার সম্পাদক আমীরুল ইসলাম আলিম, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, প্রয়াত কে এম ওবায়াদুর রহমানের কনা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ প্রমুখ।