কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তিন সংসদ সদস্য এবং এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে প্রার্থী করে আগেই চমক দিয়েছিল বিজেপি। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) আরও শীর্ষ নেতাদের প্রার্থী করে চমক দিল ভারতীয় জনতা পার্টি।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। যিনি বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য বলে পরিচিত। দিল্লির অনুরোধে ২০ বছর বাদে ফের নির্বাচনের প্রার্থী হলেন তিনি। এর সাথে প্রার্থী হলেন সাবেক সহ সভাপতি রাহুল সিনহা।তৃণমুল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে মমতার ছায়াসঙ্গী ছিলেন মুকুল রায়। ২০০১ সালে তৃণমূলের হয়ে জগদ্দলে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেবার হারতে হয়েছিল। এরপর ২০০৯ সালের লোকসভা ভোট ও ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমুল কংগ্রেসকে ক্ষমতায় আনা এবং মমতা বন্দোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসানোর অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তিনিই।এরপর ২০১৮ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমুল ছেড়ে বিজেপিত যোগ দেন মুকুল রায়। মুলত বঙ্গে পদ্ম ফুলের (দলীয় প্রতীক) বাড়বাড়ন্ত তারই হাত ধরে। এমনকী কী ভাবে মমতার থেকে ছিন্ন করে তৃণমুল ত্যাগীদের বিজেপি আনা যায় সবই তারই করিশ্মা। এহেন নেতা দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি হবেন তা স্বাভাবিক।ফলে সংগঠনের কাজেই তাকে দেখা যেত এতদিন। এবার বিধানসভায় প্রার্থী হলেন তিনি। উত্তর ২৪পরগনার কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছে তার দল। স্বাভাবিক ভাবে বোঝাই যাচ্ছে রাজ্য দখল করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ববাহিনি। যা রাজ্য রাজনীতিতে যথেষ্ট তাৎপর্য়মুল্য। তবে কানাঘুষো থাকলেও প্রার্থী করা হয়নি দলের রাজ্য সভাপিতি দিলীপ ঘোষকে। তাঁকে দলীয় প্রচারে ব্যবহার করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এমনকী সদ্য দলে যোগ দেওয়া অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীরও নাম নেই প্রার্থী তালিকায়।বৃহস্পতিবার দিল্লিতে দলের প্রধান কার্য়ালয় থেকে ১৪৮ জনের নামের তালিকা ঘোষণা করে বিজেপি। সেখানে উত্তর ২৪পরগনার বরানগর কেন্দ্র থেকে অভিনেত্রী পার্নো মিত্র, কলকাতার বেহালা পশ্চিম থেকে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে। এমনকী উল্লেখযোগ্য ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ভবনীপুর থেকে প্রার্থী করা হয়েছে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকে। যদিও এবার মুখ্যমন্ত্রী নিজের কেন্দ্রের প্রার্থী না হয়ে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হয়েছেন। এদিন ভারতীয় জনতার পার্টির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমাকে প্রার্থী করেনি। কারণ দল আমায় গোটা রাজ্যে প্রচারে নেতৃত্ব দিতে বলেছে। সব প্রার্থীদের জেতানোর দায়িত্বে এখন আমার। পশ্চিমবঙ্গে এবার পরিবর্তন হবেই।