নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।এতে খোলা (লুজ) সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ দাম ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আগে ১১৫ টাকা ছিল। এছাড়া বোতলের সয়াবিন তেলের লিটারপ্রতি সর্বোচ্চ দাম ১৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আগে ছিল ১৩৫ টাকা।সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন পরিবেশক নিয়োগ আদেশ, ২০১১ অনুযায়ী গঠিত জাতীয় কমিটিতে ভোজ্যতেলের মূল্য ও সরবরাহ বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানে বিস্তারিত নিরীক্ষার পর অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের মূল্যের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়।সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি লিটার লুজ সয়াবিন মিল গেইটে ১১৩ টাকা, ডিলারের ১১৫ টাকা, সর্বোচ্চ মূল্য ১১৭ টাকা। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম মিল গেইটে ১২৭ টাকা, ডিলারের ১৩১ টাকা, সর্বোচ্চ মূল্য ১৩৯ টাকা। ৫ লিটারের বোতলজাত তেলের দাম মিল গেইটে ৬২০ টাকা, ডিলারের ৬৪০ টাকা, সর্বোচ্চ মূল্য ৬৬০ টাকা। এবং প্রতি লিটারের পামতেল লুজ (সুপার) তেলের দাম মিলগেইটে ১০৪ টাকা, ডিলারের ১০৬ টাকা, সর্বোচ্চ মূল্য ১০৯ টাকা।বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্যে অস্থিতিশীলতা থাকায় আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী স্থানীয় মূল্য সমন্বয়ের লক্ষ্যে জাতীয় কমিটি দেশের পরিশোধনকারী মিল ও ভোক্তাদের স্বার্থ বিবেচনায় প্রয়োজনে সভা করছে।জানা গেছে, রমজানকে সামনে রেখে ভোজ্যতেলের যৌক্তিক মূল্যে যেন বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত হয় সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এজন্য অপরিশোধিত সয়াবিন ও পামওয়েল আমদানিতে আরোপিত ভ্যাট ভোক্তার স্বার্থ বিবেচনায় আরও বেশি যৌক্তিকহারে নির্ধারণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। দেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা ২০ লাখ টন। যার সস্পূর্ণটাই আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি করে পূরণ করতে হয়। গত জুলাই থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি মেট্রিক টন সয়াবিন তেলের দাম ১২৭৫ ডলার ও পামওয়েলের দাম ১০৩৭ ডলার।