বিনোদন ডেস্ক : কঙ্গনা রনৌতের সঙ্গে ঋত্বিক রোশন যখন সম্পর্কে জড়ান তখন নাকি তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলেন। কঙ্গনার অভিযোগ, ঋত্বিক বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও একের পর এক মেইল পাঠাতেন তাকে।ইমেইল কাণ্ড নিয়ে বলিউডে আবারও উঠে এসেছে ঋত্বিক-কঙ্গনার পুরনো প্রেমের কেচ্ছা। আর তার পেছনেও রয়েছে ঋত্বিকেরই অবদান। ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ২০১৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘কৃশ ৩’। সেই ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন ঋতিক ও কঙ্গনা। তারপর থেকেই দু’জনের সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা যায়। কঙ্গনার অভিযোগ ছিল, মিথ্যে কথা বলে তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ঋতিক। তখন তিনি সুজানের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে ছিলেন। কঙ্গনা সেই সময় দাবি করেছিলেন, ঋত্বিকই নাকি মেইল পাঠাতেন তাকে। কঙ্গনার অভিযোগ নিয়ে প্রকাশ্যে সেভাবে কখনও মন্তব্য করেননি ঋত্বিক। কিন্তু ২০১৬ সালে কঙ্গনার বিরুদ্ধে সাইবার সেলে অভিযোগ করেন এই বলিউড তারকা। অনলাইনে হেনস্তার অভিযোগ আনেন তিনি। পরে সেই মামলা ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। শুক্রবারই (২৬ ফেব্রুয়ারি) ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের পক্ষ থেকে ঋতিককে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়। সেই কথা মেনেই শনিবার হাজিরা দিতে যান অভিনেতা। ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, কঙ্গনা ও ঋত্বিকের সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে ঋত্বিককে। ধৈর্য ধরে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে কঙ্গনা রনৌতের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দেন ঋত্বিক রোশন। শনিবার সকাল ১১.৪৫-এর দিকে মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসে পৌঁছান অভিনেতা। কালো টি-শার্ট, সঙ্গে মাথায় ছিল কালো টুপি। মুখও ঢাকা ছিল কালো মাস্কে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। তারপরই ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিস ছাড়েন এই তারকা। এদিকে, শুক্রবার ঋত্বিকের জবানবন্দি রেকর্ড করার খবর প্রকাশ্যে আসতেই সেই খবর শেয়ার করে ‘প্রাক্তন প্রেমিক’কে একহাত নেন কঙ্গনা রনৌত। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘সারা পৃথিবী কোথা থেকে কোথায় পৌঁছে গেল, আর আমার নির্বোধ প্রাক্তন এখনও সেই মোড়েই পড়ে রয়েছে। যেখানে সময় আর কখনই ফিরে যাবে না। ’