নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্রাহকদের বন্ধক রাখা স্বর্ণ আত্মসাতের মামলায় বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের সমবায় ব্যাংকের প্রিন্সিপাল কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক ও সিনিয়র কর্মকর্তা (ক্যাশ) নুর মোহাম্মদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তিন দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম তাদেরকে আদালতে হাজির করেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদেরকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে দুদক। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম কে এম ইমরুল কায়েশ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ওই দুই কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত বুধবার সমবায় ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক আবদুল আলিম, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) হেদায়েত কবীর এবং সাবেক প্রিন্সিপাল কর্মকর্তা ও সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংকের এসএস রোড শাখার ব্যবস্থাপক মো. মাহাবুবুল হক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি স্বীকারোক্তি দেয়া তিন আসামিসহ পাঁচজনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। একইদিন সকালে ব্যাংকের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মহিসহ নয়জনের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ একটি মামলা দায়ের করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম। এরপর দুদক কর্মকর্তা ইব্রাহিমের নেতৃত্বে একটি দল রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা সমবায় ব্যাংক থেকে ২ হাজার ৩১৬ জন গ্রাহকের বন্ধক রাখা ৭ হাজার ৩৯৮ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ আত্মসাতের চেষ্টা করেন। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪০ কোটি ৮ লাখ ৬০ হাজার ৮৮৮ টাকা। এর মধ্যে অন্য ব্যক্তিকে প্রকৃত গ্রাহক সাজিয়ে ১১ কোটি ৩৯ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮৬ টাকার স্বর্ণ আত্মসাৎ করেন তারা।