নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ৫ জুন বাণিজ্যমেলার মাঠে আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। গতকাল বৃহস্পতিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা-২০২১ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২১ উদযাপনের প্রাক-প্রস্তুতিমূলক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ কথা বলেন তিনি। সভাপতির বক্তব্যে পবিবেশমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রাণ প্রকৃতিকে সবুজে শ্যামলে ভরিয়ে দিতে কাজ করছে সরকার। জনগণের নিকট এ বার্তা পৌঁছে দিতে ‘মুজিববর্ষে অঙ্গীকার করি, সোনার বাংলা সবুজ করি’ প্রতিপাদ্যে উদযাপিত হবে এবারের জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলা-২০২১। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সম্মিলিত অংশগ্রহণের মাধ্যমেই আমরা দেশকে সবুজে শ্যামলে ভরে দিতে সক্ষম হব। মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ পরিবেশ উন্নয়নে দেশের সর্বত্র ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। এ বৃক্ষরোপণ অভিযানকে গতিশীল রাখার লক্ষ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন গ্রহণ করে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলাÑএ দুটি কর্মসূচিই ৫ জুন উদ্বোধন অনুষ্ঠান বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এবং বৃক্ষমেলা বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন ২০২০, বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ও জাতীয় পরিবেশ পদক ২০১৯ ও ২০২০ প্রদানসহ সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের মাঝে চেক বিতরণ করা হবে। সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এ বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন, জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। বৃক্ষরোপণ অভিযান সম্পর্কে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ব্যাপক প্রচার ছাড়াও শহরের উল্লেখযোগ্য স্থানে ব্যানার ও হোর্ডিং স্থাপন করা হবে। শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিবেশ সংরক্ষণ ও বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযেগিতার আয়োজন করা হবে। সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মাহমুদ হাসান, অতিরিক্ত সচিব আহমদ শামীম আল রাজী, মো. মনিরুজ্জামান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহাম্মদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরীসহ ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।