চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: নগরজুড়ে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম চলমান থাকলেও সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেনি। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা মানার গরজ নেই কারও।চট্টগ্রাম আদালত পাড়ায় প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে আসেন হাজারো বিচারপ্রার্থী। এখানকার দেওয়াল ও প্রবেশপথে মাস্ক পড়ার নির্দেশনা সম্বলিত পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। কিন্তু সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই বিচারপ্রার্থীদের। এ অবস্থায় সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন আইনজীবীরাও।আদালত পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, এজলাসের বাইরে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকছে মানুষ। কেন মাস্ক পড়ছেন না? এমন প্রশ্ন ছিল বেশ কয়েকজন বিচারপ্রার্থীর কাছে। তারা নানান অজুহাত দেখাচ্ছেন। কেউ মাস্ক আনতে ভুলে গেছেন, আবার কেউ মাস্ক রেখেছেন পকেটে। কেউবা মাস্ক ব্যবহার কিংবা দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ানো প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন না।আইনজীবী চৌধুরী সেলিম বলেন, মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক হলেও মানছে না অধিকাংশ বিচারপ্রার্থী ও তাদের সঙ্গে আসা স্বজনরা। তবে এজলাসের ভেতরে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। শুনানি করার সময়ও মাস্ক পড়ে থাকতে হয়। চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন বলেন, করোনার মধ্যে আদালত চলছে। আইনজীবীদের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে সমিতির মাইকে প্রতিনিয়ত ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে বিচারপ্রার্থীদের বার বার মুখে মাস্ক রাখা ও সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম বারের ২৮ জন আইনজীবী মারা গেছেন। আমরা করোনায় আর কোনও আইনজীবীকে হারাতে চাই না। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মামলা পরিচালনা করার আহ্বান জানাচ্ছি। নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ দাবি করেন, আদালতে সবাই মাস্ক পড়েই আসেন। সবাই সামাজিক দূরত্বও মেনে চলেন। এজলাসের ভিতরে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর দায়রা জজ এর আওতাধীন আদালতের সংখ্যা ৭৬টি। এসব আদালতে বিচারাধীন ৩ লাখেরও বেশি মামলার শুনানী ও হাজিরা দিতেন আসেন বিচারপ্রার্থীরা।