সম্পত্তির জন্যই মাকে হত্যা! 

সম্পত্তির জন্যই মাকে হত্যা! 
কুষ্টিয়া: সম্পত্তির জন্য নিজের গর্ভধারিণী মাকে হত্যা করে বস্তায় ভরে পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়েছিলো কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা পোড়াদহ ইউনিয়নের দক্ষিণ কাটদহ এলাকার যুবক মুন্না। ঘটনা ধামাচাপা দিতে নিজেই থানায় নিখোঁজের জিডি করেন।এ ঘটনায় ছেলেসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত।প্রেস বিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, মমতাজ বেগমের এক ছেলে ও ৩ মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি একমাত্র ছেলে মুন্নার সঙ্গে বসবাস করতেন। মা যাতে মেয়েদের সম্পত্তির ভাগ দিতে না পারেন সেই জন্য বন্ধু রাব্বি ও চাচা আব্দুল কাদেরকে নিয়ে মাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২০ জানুয়ারি মমতাজকে হত্যা করে মরদেহ বস্তাবন্দি করে পুকুরে ফেলে দেন। পরে ২১ জানুয়ারি ছেলে মুন্না মিরপুর থানায় তার মাকে কে বা কারা অপহরণ করেছে এই মর্মে জিডি করেন। কেবল তাই নয় এরপর মুন্না তার বন্ধু রাব্বিকে অপহরণকারী সাজিয়ে তার (মুন্না) দুলাভাইয়ের কাছে ফোন করিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।জিডি ও ফোন কলের সূত্র ধরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে মঙ্গলবার মমতাজ বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ছেলে মুন্না, তার বন্ধু রাব্বি ও চাচা আব্দুল কাদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।প্রেস বিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফরহাদ হোসেন, গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমিনুল ইসলাম, পরিদর্শক আশরাফুল ইসলামসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন