স্পোর্টস ডেস্ক : এখন থেকে জাতীয় দলের কোনো ম্যাচে ক্রিকেটারদের খেলানোর জন্য জোর করবে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলেনে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন।
নিউজিল্যান্ড সফরের আগে সিনিয়র খেলোয়াড়, বোর্ড কর্মকর্তা ও কোচদের সঙ্গে বৈঠকের পর মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। যেখানে ওঠে এসেছে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে বোর্ডের চুক্তির বিষয়ও। তবে এ ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি জানান বিসিবি সভাপতি। নিউজিল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। আইপিএলে খেলার জন্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টেও থাকছেন না তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর এমন দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে সাকিবের না থাকার ব্যাপারে ‘বিব্রত’ না হলেও ‘মন খারাপ’ করেছে বোর্ড। সাকিবের ছুটি মঞ্জুর আগেই হয়েছিল। এবার বিষয়টি নিয়ে পাপন জানান, কাউকে জোর খেলানোর পক্ষপাতী নয় বোর্ড। বিসিবি সভাপাতি বলেন, ‘আমরা জোর করে কাউকে কোথাও পাঠাবো না। যে খেলতে চায় না, খেলবে না। আমরা চায়, সকলে খেলুক। তবে কারও যদি জাতীয় দলের চেয়ে অন্য কোনো জায়গায় খেলতে ভালো লাগে, তাহলে খেলতে পারে। এই মেসেজটা সবার জন্য। এটা কেবল সাকিবের জন্য নয়। ’ তিনি আরও বলেন, ‘এই ব্যাপারে আমরা আলোচনা করেছি। এই ব্যাপারে আমরা এখন তাদের সঙ্গে একটা চুক্তিতে যাবো। আমাদের কিন্তু আগের চুক্তি শেষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা নতুন চুক্তি করিনি। এই চুক্তিগুলোতে আরও কিছু নতুন বিষয় যুক্ত হবে। ওখানে সব পরিস্কার লেখা থাকবে। কে কোন ফরম্যাটে খেলতে চায়, তা তাদেরকে বলতে হবে। এটাও জানতে হবে, তাদের যদি ঐ সময় অন্য কোনো জায়গায় অন্য কিছু থাকে তাহলে তারা কি জাতীয় দলে খেলবে নাকি ওখানে, তা জানাতে হবে। কারণ এই চুক্তিতে যে সই করবে তাকে কিন্তু আমরা আর যেতে দেবো না। এখন ওপেন। এতদিন ছিল এটা ব্যক্তিগতভাবে। তবে এখন আমরা এটা কাগজে-কলমে লিখিতভাবে নিয়ে নেবো। সুতরাং এখানে কারও কিছু বলার থাকবে না। ’ সাকিবের টেস্ট না খেলা প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘যারা নাকি ওডিআই খেলবে, যারা টি-টোয়েন্টি খেলবে তারা বলে দেবে যে, আমি টেস্ট খেলবো না। কোথায় কোথায় টুর্নামেন্ট হবে আমরা ওসবে খেলবো। বলে দিক, আমরা তো লিখিত নিয়ে নিচ্ছি। যে বলবে জাতীয় দলে খেলবে, তাকে খেলতেই হবে। প্রধান বিষয় হচ্ছে, সাকিব কে তো খেলানো যাবে না জোর করে, ওকে খেলতে না দিলে কি করতো? হয়তো খেলতো। কিন্তু আমরা ওটা চায় না। আমরা চায়, যারা এই খেলাটাকে ভালোবাসে, সেই খেলুক। কাউকে জোর করে আমি খেলাতে চাই না। সাকিব তো আরও তিন বছর আগেই টেস্ট খেলতে চায়নি। ও আসলে টেস্টের প্রতি আগ্রহী ছিল না। তখন তাকে অধিনায়ক করে দেওয়া হলো। কিন্তু জোর করে খেলানোর কোনো মানে হয় না। ’ এছাড়া বিসিবি সভাপতি পাপন জানান, এখন থেকে যে কোনো সফরে বোর্ডের কর্মকর্তা, সেটা জালাল ইউনূস হতে পারে বা খালেদ মাহমুদ সুজন খেলোয়াড়দের সঙ্গে থাকবেন।