নিজস্ব প্রতিবেদক : কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে নেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প। পাশাপাশি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ তরান্বিত করতে দক্ষ জনবল তৈরিতে ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কৃষি প্রকৌশলীর ২৮৪টি পদ সৃজন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার কেন্দুয়া গ্রামে ‘সমলয় পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ৫০ একর জমিতে ধানের চারা রোপণ উদ্বোধন ও কৃষক সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ধানের চারা রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে প্রতি একর জমিতে ১ ঘণ্টায় রোপণ করা যায়। এর ফলে একর প্রতি কৃষকের খরচ কমবে ৪৫০০ টাকা। আগামী ৪-৫ বছর পরে কেউ হাতে ধান রোপণ করবে না বলে এ সময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কৃষক সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আসাদুল্লাহ। এছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সোহানা নাসরিন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহসানুল বাসার, ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর ফারুক আহমেদ, বীরতারা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, কৃষক ফজলুল হক প্রমুখ। কেন্দুয়া গ্রামের হাইব্রিড ধানের সমলয় চাষাবাদ প্রদর্শনী সর্বমোট ৫০ একর জমিতে স্থাপিত হয়েছে। যেখানে ৯০ জন উদ্যোগী কৃষক এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড হিরা-১ জাতের ধান এখানে রোপণ করা হচ্ছে। গত ২০ জানুয়ারি চার হাজার ৫০০ ট্রেতে একযোগে বীজতলায় ধানের বীজ বপন করা হয়েছিল। সেটার অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার ওই ট্রেগুলো থেকে একযোগে যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা জমিতে রোপণ করা হয়।