অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ দলমত নির্বিশেষে বাঙালির সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব। শহর-নগর-বন্দর থেকে শুরু করে গ্রামের পাড়া-মহল্লা সর্বত্র ধনী-গরিব সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রাণের এ উৎসবে মেতে ওঠে। সে ধরনের প্রাণের উৎসবে রূপ নিচ্ছে বসন্ত উৎসব।আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। স্বাগত বক্তৃতা দেন একাডেমির সচিব মো. নওসাদ হোসেন। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড পারফরমিং আর্টস ও স্পন্দন নৃত্যদলের শিশুশিল্পীরা। বড়দের বিভাগে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে নাচের দল নৃত্যালোক, বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস, নৃত্যম, নন্দন কলা কেন্দ্র, মারমা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়, ধৃতি নৃত্যালয়ের শিল্পীরা।দলীয়সঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পকলা একাডেমি সঙ্গীতদল, শিল্পকলা একাডেমি ভাওয়াইয়া সঙ্গীতদল, সরকারি সঙ্গীত কলেজ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পীরা। দ্বৈতসঙ্গীত পরিবেশন করেন সাজেদ আকবর ও সালমা আকবর, ইবরার টিপু-বিন্দু কনা এবং খায়রুল আনাম শাকিল-কল্পনা আনাম।এর আগে সকালে সদ্যপ্রয়াত অভিনেতা আলী যাকেরের স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে এবারের ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নেয় জাতীয় বসন্ত উদযাপন পরিষদ। গান, কবিতা, দলীয় নৃত্য আর বসন্ত কথন দিয়ে সাজানো ছিল পরিষদের আয়োজন।করোনার কারণে একটু বিরূপভাবে হলেও প্রকৃতি খুলেছে তার দখিনা দুয়ার। ফাগুন হাওয়ায় ফুটেছে অশোক-পলাশ, দল মেলেছে নানা রঙের নানা ফুল। ফুলে-ফুলে, ঢলে-ঢলে প্রকৃতিতে ঋতুরাজ বসন্তের আগমনী বার্তা। করোনা ভাইরাস মহামারিতে গেলো বছর প্রায় উৎসবের রং ফিকে হয়। প্রিয়জন হারানোর আর্তনাদ শুনেছে আকাশ। জরা-ব্যাধি, শোক-তাপে জর্জরিত মন্দ সময়কে পেছনে ফেলে নগরবাসীর কামনা- ঋতুরাজের হাত ধরে এবার আসুক নতুন দিন, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।