জিয়ার খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শনি ও রবিবার বিক্ষোভ বিএনপির

জিয়ার খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শনি ও রবিবার বিক্ষোভ বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দুই দিনব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিএনপি। কর্মসূচির মধ্যে শনিবার ঢাকাসহ দেশের সকল মহানগরে এবং রবিবার দেশের সকল জেলা সদরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করবে দলটি। জিয়াউর রহমানের এই খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধার জন্য অপমান ও অবমাননা বলে মনে করে দলটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানায় জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নেয়ার সরকারি রাজনৈতিক অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই অন্যায়, অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যমূলক অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানায় দলটি। এর প্রতিবাদে দলটিরপক্ষ থেকে আগামী শনিবার ঢাকাসহ দেশের সকল মহানগর এবং রবিবার দেশের সকল জেলা সদরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘জিয়াউর রহমানের মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দেয়া, অসীম সাহসিকতার সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া এবং মাতৃভূমির স্বাধীনতা অর্জনে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা পালনের জন্য ১৯৭২ সালে তৎকালীন সরকারের দেয়া বীর উত্তম খেতাব বাতিলের মত অপ্রত্যাশিত, অস্বাভাবিক ও অন্যায় এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের এই সিদ্ধান্ত শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক নয়। মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপমান ও অবমাননা। এমনকি এই সিদ্ধান্ত তাকে খেতাব প্রদানকারী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর বিচার-বুদ্ধির প্রতিও অশ্রদ্ধা প্রকাশ।’
খেতাব বাতিল অসঙ্গত ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধকালীন তার অসীম বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অবদানের জন্য। পরবর্তীকালে তার কোনো কার্যক্রমই ১৯৭১ সালে তার অবদানকে মিথ্যা করে দিতে পারে না। বিধায় তার অর্জিত খেতাব বাতিল অসঙ্গত: এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক।‘
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা ২৫ মার্চ রাত্রে মেজর জিয়ার উই রিভোল্ট, ২৬ মার্চ পাকিস্তানী বাহিনীকে নিরস্ত্র এবং হত্যা করে বাঙালি সৈন্যদের সুসংহত করে প্রতিরোধ সংগ্রাম শুরু এবং ২৭ মার্চ প্রথমে নিজের নামে পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নামে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। রাজনৈতিক কারণেও এসব অস্বীকার করার উপায় নেই। বীর উত্তম জিয়াউর রহমান যে প্রথম সেক্টর কমান্ডার এবং প্রথম ফোর্সেস কমান্ডার ছিলেন।’
‘অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা, সাহসী সেনাপতি এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার বীর উত্তম জিয়াউর রহমানের সাফল্য কারও জন্য মর্মপীড়ার কারণ হতে পারে কিন্তু ইতিহাস বিকৃত করার কিংবা মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান কিংবা অসম্মান করার অধিকার কারও নেই এবং এমন অপপ্রয়াস কখনও সফল হবে না। জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এদেশের কোটি মানুষের হৃদয়ে মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে আছেন এবং থাকবেন চিরকাল।’

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন