নিজস্ব প্রতিবেদক : পশ্চিমাঞ্চলের যশোর-ঝিনাইদহ সড়ককে মহাসড়ক এবং সংশ্লিষ্ট গ্রামীণ সড়ক ও বাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকা (৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ও বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, এতে পশ্চিমাঞ্চলের ২ কোটির বেশি মানুষ উপকৃত হবে। ঋণচুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে সংস্থাটির বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন সই করেছেন। চার বছর গ্রেস দিয়ে এই ঋণ বাংলাদেশকে ৩৪ বছরে পরিশোধ করতে হবে। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, ‘ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডোর অ্যান্ড রিজিওনাল এনহেন্সমেন্ট (উইকেয়ার) প্রোগ্রাম ফেজ-১’ প্রকল্পের আওতায় এই অর্থ খরচ করা হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যশোর-ঝিনাইদহের দুই লেনের ৪৮ কিলোমিটার সড়ককে আধুনিক চার লেনের সড়কে রূপান্তর করা হবে। পাশাপাশি ৬০০ কিলোমিটার গ্রামীণ সংযোগ সড়ককে উন্নয়ন এবং বিদ্যমান গ্রামীণ হাট-বাজারের উন্নয়ন ও নতুন হাট-বাজার গড়ে তোলা হবে। সেই সঙ্গে দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে মহাসড়ক জুড়ে ফাইবার-অপটিক কেবল স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের এই ধাপে যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গায় বাস্তবায়িত হবে। প্রথম দুই বছরে স্থানীয় জনগণের জন্য ১৩ লাখ কর্ম দিবসের (১.৩ মিলিয়ন ডে ওয়ার্কস) সুযোগ তৈরি হবে। এ বিষয়ে মার্সি টেম্বন বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে স্বল্প খরচ ও সময়ে পশ্চিমাঞ্চলের কৃষকরা তাদের পণ্য বিদ্যমান হাটবাজার ও নতুন করে গড়ে তোলা হাটবাজারে নিয়ে যেতে পারবেন। পচনশীল পণ্যের ক্ষতিও কমে আসবে। আর এই অর্থনৈতিক করিডোর নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। স্থানীয় অর্থনীতিকে করবে চাঙ্গা। সর্বোপরি এই প্রকল্প বাংলাদেশকে একটি বাণিজ্যিক, ট্রানজিট ও লজিস্টিক হাব হিসেবে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করবে। ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, যোগাযোগ নেটওয়ার্কের উন্নয়নে এই প্রকল্প সহযোগিতা করবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সড়ক যোগাযোগ ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদির উন্নয়ন হলে এটি ওই অঞ্চলসহ সারাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
