করোনায় শেখ হাসিনা দেখিয়েছেন কীভাবে সংকট মোকাবিলা করতে হয়: তথ্যমন্ত্রী

করোনায় শেখ হাসিনা দেখিয়েছেন কীভাবে সংকট মোকাবিলা করতে হয়: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক ; করোনা পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার মধ্য দিয়ে কীভাবে সংকট মোকাবিলা করতে হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী করোনা সংকট পাড়ি দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। এই দুর্যোগ মহামারিকে বাংলাদেশ সংকট মোকাবিলায় নিজেকে উদাহরণ হিসেবে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার শুরুতে যারা শঙ্কা প্রকাশ করেছিল, পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছিল টেলিভিশনের পর্দা গরম করেছিল যে, হাজার হাজার লাশ পড়ে থাকবে, অনাহারে হাজার হাজার মানুষ মারা যাবে, তাদের সেই শঙ্কাকে ভুল প্রমাণিত করে শেখ হাসিনা সংকট মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ করোনা মহামারিকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ উপমহাদেশে তৃতীয় এবং বিশ্বে ২০তম। বিশ্বের অন্য দেশের মতো আমরা নিজেদের করোনা থেকে রক্ষা করতে পারিনি। কিন্তু এখানে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ হয়েছে তা পৃথিবীর সামনে দৃষ্টান্ত। বিএনপি ও তার মিত্রতা এবং রাত ১২টার পরে যারা টেলিভিশন গরম করে, তারা এটা স্বীকার না করলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের মাত্র ২০ দেশে করোনাকালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি পজিটিভি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে গায়ানা আর সাউথ সুদান। দেশ দুটির জনসংখ্যা অনেক কম, অর্থনীতি অনেক ছোট। সেই তুলনায় বাংলাদেশকে বলতে হবে করোনা মহামারির মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে এক নম্বরে রয়েছে। সরকার ৭ কোটি মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে। এই করোনা মহামারির মধ্যে নয়াপল্টনের অফিসে বসে অনেকে বড় বড় কথা বলেন। তারা এই পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির তিন জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এক তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, আবার তারা সুস্থ হয়ে মানুষের জন্য কাজে নেমে পড়েছেন। সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষকে আশান্বিত করেছেন। মানুষ শুধু আশান্বিতই হননি, আলোকিত হয়েছেন। গ্রামে আজ কুঁড়েঘর নেই, পণ্যকুটির খুঁজে পাওয়া যায় না। কবিতায় কুঁড়েঘর আছে বাস্তবে নেই। কুঁড়েঘর এখন পাকা ঘরে রূপান্তরিত হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি শুধু দেশকে এগিয়ে নিতে চান না, দেশের নতুন প্রজন্মকে মেধায় সমৃদ্ধ করে এগিয়ে নিতে চান। শুধু বস্তুগত উন্নতি নয়, নতুন প্রজন্মের আত্মিক উন্নতিও তিনি ঘটাতে চান। এখন দেশে উন্নয়ন অর্জনে একটি নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মধ্যযুগে বাংলাদেশ ধনী দেশ ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা ধনী ছিলাম বলেই এখানে বর্গীরা এসেছিল, ওলন্দাজরা এসেছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দৃশ্যপট আবার উল্টে দিতে চাই। আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ আবারও উন্নত ও ধনী দেশে রূপান্তরিত হবো। আমরা একটি মানিবক রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। কল্যাণরাষ্ট্র গঠন করতে চাই।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন