নিজস্ব প্রতিবেদক: খ্যাতিমান শিশুসাহিত্যিক ও বিশিষ্ট প্রত্নগবেষক খন্দকার মাহমুদুল হাসান আর নেই। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর গ্রিনলাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। খন্দকার মাহমুদুল হাসান দুই কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে তার জানাজা রাজধানীর বকশিবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৩টায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। শিশুসাহিত্যিক ও চিত্রশিল্পী মনিরুজ্জামান পলাশ জানান, খন্দকার মাহমুদুল হাসান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিন দিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। খন্দকার মাহমুদল হাসান ১৯৫৯ সালের ২৫ আগস্ট রংপুর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দুই বাংলার বিস্তৃত এলাকা সরেজমিনে ঘুরে ইতিহাস ও পুরাকীর্তি বিষয়ক গবেষণা করেছেন। সাময়িকপত্র ও চলচ্চিত্র নিয়েও গবেষণা করেছেন। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি প্রকাশিত বাংলাদেশের জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়া ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রকাশিত শিশু বিশ্বকোষ রচনায় তিনি অংশগ্রহণ করেছেন। শিশুসাহিত্য ছাড়াও ইতিহাস, বিজ্ঞান, পুরাকীর্তি, চলচ্চিত্র, গল্প, উপন্যাস, গোয়েন্দা কাহিনি প্রভৃতি মিলিয়ে শতাধিক বই লিখেছেন খন্দকার মাহমুদুল হাসান। ছোটদের জন্য লিখেছেন ৯০টি বই, যার মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প, ভয়ের গল্প, হাসির গল্প, জীবনবোধসম্পন্ন গল্প, রূপকথার গল্প, গোয়েন্দাকাহিনি, রহস্যোপন্যাস, সায়েন্স ফিকশন, চোরের গল্প, পুলিশ কাহিনি প্রভৃতি। লিখেছেন ইতিহাসবিষয়ক ২৬টি বই, ২২টি কিশোর উপন্যাস ও ৩১টি গল্পের বই। খন্দকার মাহমুদুল হাসান দুইবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রদত্ত অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন। এম নুরুল কাদের শিশুসাহিত্য পুরস্কার পান দুইবার। ভারত থেকে পেয়েছেন যতীন্দ্রমোহন রায় স্মৃতি পুরস্কার (টুকলু পুরস্কার)।