ভবিষ্যতে বহু কাজ করার ইচ্ছা আছে লুবাবার। কিন্তু একটি অপ্রাপ্তি তাকে খুব কষ্ট দেয়। যেটা সে আর কখনো পূরণ করতে পারবে না। লুবাবার কথায়, ‘দাদা বলেছিলেন, তার সঙ্গে আমিও কাজ করব, কিন্তু আমার প্রাণের দাদা তো এখন আর নেই। তাই আর কোনোদিন তার সঙ্গে শুটিং করতে পারবো না। তাকে অনেক মনে পড়ে। আমার ইচ্ছা দাদার মতো অভিনয়শিল্পী হবো’।
ভালো ও পছন্দের গল্প হলে নিয়মিত অভিনয় করবে বলে জানায় লুবাবা। তবে আপাতত সেটা খুব বেশি না। কারণ পড়াশোনায় ভালো করার তার প্রবল ইচ্ছা। লুবাবা বলে, ‘দাদাকে আমি তার পছন্দের অনেক গান গেয়ে শোনাতাম। সবচেয়ে বেশি শোনাতাম- দামা দাম মাস্ত কালান্দার-এটা ওনার খুব প্রিয় ছিল। আরও অন্য বাংলা, ইংরেজি এবং হিন্দি গান শোনাতাম। তিনি চাইতেন আমি যেন সিঙ্গার হই। তাই বড় হয়ে দাদার ইচ্ছায় সিঙ্গার হতে চাই, আরও ইচ্ছা আছে পড়াশোনা করে পাইলট হবো’।
মেয়ের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে চায় সিমরিন লুবাবার মা জাহিদা ইসলাম। তিনি জানান, লুবাবা পড়াশোনায় অনেক ভালো। কোনো কিছু একবার পড়লে সে দ্রুত সেটা মুখস্থ করে ফেলতে পারে। তাছাড়া একবার কোনো কিছু তাকে দেখিয়ে দিলে সেটা আর সহজে ভোলে না সে। তাই মেয়ের ইচ্ছায় তাকে পাইলট বানাতে বিদেশে পড়াতে চান তিনি।
দাদার চলে যাওয়ার কষ্টের কথা বলতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত লুবাবা বলে, ‘আমি জানি দুনিয়া থেকে সবাইকে চলে যেতে হবে, কাউকে আগে যেতে হবে কাউকে পরে যেতে হবে। দাদার ছবির দিকে তাকালে মনে হয় তিনি আমাকে বলছেন- কীরে কানছো কেনো? কী হয়েছে?’গত বছর ভারতের রাজস্থান সরকারের করোনা নিয়ে জনসচেতনতামূলক একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হয়েছে সিমরিন লুবাবা। রাজস্থানের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও সামাজিক মাধ্যমে সেটি প্রচার হয়েছে। একটি তামিল সিনেমাতেও অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিল সে। কিন্তু সেটা তার করা হয়নি। তবে সামনের দিনগুলোতে মনের মতো কাজ পেলে সিনেমায় কাজ করবে বলে জানায় প্রয়াত আব্দুল কাদেরের নাতনি।