স্বাস্থ্যের গাড়িচালক মালেকের মামলা বদলি

স্বাস্থ্যের গাড়িচালক মালেকের মামলা বদলি

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে বাদলের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলা বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীম মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। এদিন আদালতে অভিযোগপত্র উপস্থাপন করা হয়। এরপর বিচারক অভিযোগপত্রে দেখিলাম স্বাক্ষর করেন। পরে মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। এর আগে গত ১১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র?্যাব-১ এর উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান চৌধুরী আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ১৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। গত ৫ অক্টোবর ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে বাদলকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে আবদুল মালেকের আইনজীবী জি এম মিজানুর রহমান তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় অবৈধ অস্ত্র ও জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তুরাগ থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় তার সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে তার আইনজীবী জি এম মিজানুর রহমান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অবৈধ অস্ত্র, জাল নোট ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক আবদুল মালেককে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়। তুরাগে গাড়িচালক আবদুল মালেকের সাত তলার দুটি বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। একই এলাকায় তার ১২ কাঠার প্লটও আছে। এ ছাড়া হাতিরপুলে ১০ তলা ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগÑ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসনকে জিম্মি করে চিকিৎসকদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতেন। চিকিৎসকদের বদলি-পদোন্নতিতেও ছিল তার হাত। নিয়োগ, বদলি ও পদন্নোতিতে তদবিরের নামে আদায় করেছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। যার বদৌলতে অল্প দিনেই শতকোটি টাকারও বেশি অর্থ-সম্পদের মালিক হন মালেক ড্রাইভার।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন