রেলকোচ কেনার আগেই অনিয়ম, অভিযোগ যাচ্ছে দুদকে

রেলকোচ কেনার আগেই অনিয়ম, অভিযোগ যাচ্ছে দুদকে

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বিষয়টির তদন্তে গুরুত্ব দিচ্ছে। যদিও রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি চক্র এই অনিয়ম লুকিয়ে রাখতে এরই মধ্যে নানা প্রভাব খাটিয়েছে। রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন অবশ্য বার বার বলছেন, রেলে দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের এক কর্মকর্তা  বলেন, রেলকোচ কেনার আগেই অনিয়ম হয়েছে। দুদকে অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। আশা করছি বৃহস্পতিবারের মধ্যেই এই অভিযোগ পৌঁছে যাবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগ প্রমাণিত হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ১৫০টি রেলকোচ কেনার প্রকল্পে অনিয়ম করেছেন প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হাসান মনসুর। তিনি এক্ষেত্রে বিধি লঙ্ঘন করেছিলেন। সরকারি নিয়ম অনুসারে, ১৫০টি রেলকোচ কেনার দরপত্র সংবাদপত্রে আহ্বানের আগেই ‘অফিশিয়াল এস্টিমেট’ সিলগালা করে প্রকল্প পরিচালকের নিজের হেফাজতে রাখার কথা। কিন্তু প্রকল্প পরিচালক ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট দরপত্র আহ্বানের দুই মাস পর এস্টিমেট সিলগালা করেন। এক্ষেত্রে প্রকল্প পরিচালক দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হাসান মনসুর এ ব্যাপারে বলেছেন. এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলবো না।

চলতি বছরের গত ২৪ জুন অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় এ প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব প্রক্রিয়ায় বিধি না মানার অভিযোগ স্পষ্ট ধরা পড়ে। ওই সভায় বিষয়টির তদন্তে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) প্রণব কুমার ঘোষকে প্রধান করে গঠন করা হয় কমিটি। ওই সভায় দরপত্র প্রক্রিয়ার অনিয়মে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়।রেলপথ মন্ত্রণালয় তদন্ত করে প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে বিধি না মানার অভিযোগের সত্যতা পায়। তবে প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১৫০টি রেলকোচ কিনতে ২০১৭ সালের ১ জুলাই প্রকল্প অনুমোদিত হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ১৫০টি রেলকাচ কেনার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় চলতি বছর গত ২৯ জুলাই। চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে ১৮ থেকে ৩০ মাসের মধ্যে কোচগুলো বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে সরবরাহের কথা। প্রকল্পের চুক্তিমূল্য ৬৫৮ কোটি ৮১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

রেড ক্রিসেন্টের নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক উবায়দুল কবীর চৌধুরী

পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন