দুই শতাংশ জমিতে দুই কক্ষ বিশিষ্ট এসব ঘরে যাবতীয় সুযোগ সুবিধা রাখা হয়েছে। প্রতি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
এ সময় গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইলিয়াসুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোসা. শাম্মি আকতার, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুর রহমান, আরডিসি দিনেশ সরকার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিনসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপহার বাসগৃহ পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের করপাড়ার সালমা বেগম, মো. পান্নু শেখ, আব্দুস সালাম সরদার, কাশিয়ানী উপজেলার পদ্মবিলা গ্রামের খোকা দাড়িয়া, তপন মোল্লা, আব্দুস সাত্তার ফকির বলেন, আমাদের কোনো জমি নেই। তাই নিজস্ব কোনো ঘরও নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ঘর দেবেন। এজন্য আমরা অনেক খুশি। জীবনেও আশা করিনি, একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে। এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে ঘুমানোর অপেক্ষায় আছি। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (আরডিসি) জানান, ৭৮৭টি ঘরের মধ্যে একটি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ৪৬৯টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলছে। বাকি ৩১৭টি ঘরের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। শিগগিরই ওই সব ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুর রহমান জানান, দুই শতাংশ সরকারি খাস জমির ওপর এক লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষ বিশিষ্ট ওয়ালসেড ঘর, সঙ্গে পাকা ল্যাট্রিন ও রান্নাঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজ শেষে হলে তালিকাভুক্ত ভূমিহীনদের নামে জমিসহ ঘরের দলিল হস্তান্তর করা হবে।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা- একটি পরিবারও গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মুজিববর্ষের মধ্যেই আমরা গোপালগঞ্জের গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য কাজ করছি। প্রাথমিকভাবে আমরা ৭৮৭টি গৃহ নির্মাণের জন্য টাকা পেয়েছি। শিগগিরই এসব ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হবে এবং সুফলভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, কোনো বিত্তমান ব্যক্তি কোনো ভূমিহীনকে এক শতাংশ জায়গা দান করলে, আমরা ওই ভূমিহীনকে ঘর নির্মাণ করে দেব।