ঢাকা: বাংলাদেশের পথনটাকের অন্যতম পুরোধা নাট্যজন মান্নান হীরা আর নেই। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ গিয়াস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।মান্নান হীরা পথনাটকের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দীর্ঘদিন। আমৃত্যু তিনি পথনাটক পরিষদের সভাপতি ও আরণ্যক নাট্যদলের অধিকর্তা।মান্নান হীরার নাট্য রচনার প্রধান উপাদান নিরন্ন মানুষ ও দরিদ্র জনপদ। বিশেষ করে তার পথনাটক বিশাল কৃষিজীবী মানুষ, তাদের উৎপাদন ও উপকরণ কেন্দ্র করে লেখা।তিনি প্রায় ১৫টি নাটক লিখেছেন। উল্লেখযোগ্য নাটকগুলির মধ্যে আছে লাল জমিন, ভাগের মানুষ, ময়ূর সিংহাসন, সাদা-কালো ইত্যাদি। মূর্খ লোকের মূর্খ কথা মান্নান হীরা রচিত ও নির্দেশিত অন্যতম পথনাটক।তার পথনাটক ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশে নিয়মিতভাবে অভিনীত হয়ে থাকে। একই সঙ্গে তার একাধিক নাটক অনূদিত হয়ে দিল্লি, হংকং, পাকিস্তান, নেপলসহ অনেক দেশে প্রদর্শিত হয়ে আসছে। ২০১৪ সালে তিনি সরকারের অনুদানে শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’ তৈরি করেন। এটি তার পরিচালিত একমাত্র চলচ্চিত্র। এর বাইরে ‘গরম ভাতের গল্প’ ও ‘৭১-এর রঙপেন্সিল’ নামে দু’টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেন। ২০০৬ সালে তিনি নাটক শ্রেণিতে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
আল ইমরান, বগুড়া : বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের অথার্য়নে পরিচালিত ৫৪তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০১ সালের ১৫ই জুলাই জাতীয় সংসদে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। বিভিন্ন বাধার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। ২০২৩ সালের ১০ই মে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বাস্তবায়নের জন্য সরকার এসআরও জারি করে। আইন হওয়ার ২২ বছর পর বগুড়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। দীর্ঘ ২৪ বছর পর বাংলাদেশ এর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ৩ জুন, ২০২৫ ইং তারিখে ড. মো. কুদরত-ই-জাহান কে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। প্রফেসর ড. মো. কুদরত-ই-জাহান রসায়ন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক। ১২টি বৃহত্তর জেলায় ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা তৎকালীন সরকার গ্রহণ করে। সেই আলোকে ২০০১ সালে বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সংসদে আইন হিসাবে পাশ করে। কিন্তু পরবর্তী সময় সরকার পরিবর্তন হইলে অনুমোদন বন্ধ হয়। ফলে আলোর মুখ দেখেনি বগুড়ায় বহুল প্রতীক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়টি। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য ২০১৯ সালে আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। গত ১০ মে ২০২৩ বুধবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এতে বলা হয়,