নুরুল হক নূর বলেন, সরকার নানা কারণে ভীত সন্ত্রস্ত্র। কারণ তারা এতদিন রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতা ধরে রেখেছে অগণতান্ত্রিকভাবে। এখন রাজপথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন বিরোধী সংগঠনের আন্দোলন সংগ্রাম হচ্ছে। দেশের মধ্যে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশের কারণে আমাদের যে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বা বিদেশি সংস্থা বা দাতা রাষ্ট্রগুলো মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের প্রশ্নে সরকারকে চাপ দিচ্ছে। মাঠের রাজনীতিতে আমরা শক্তিশালী সংগঠন বা দল এক্ষেত্রে হয়তো আমাদের কোণঠাসা করার জন্য কিংবা দমন-পীড়ন করার জন্য নতুন ফন্দি বা রাস্তা তারা তৈরি করেছে। এসব মামলা-হামলা দিয়ে আমাদের দমন করা যাবে না। আমাদের কার্যক্রম গতানুগতিকভাবে চলছে চলবে।উল্লেখ্য, উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের প্রথম আদালতে নুরুল হকের নূরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল।
মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনসহ ছাত্রলীগের ৬ জন নেতাকর্মীকে সাক্ষী করা হয়েছে।
মামলার এজহারে বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বর রাত ৮টায় নূর তার ফেসবুক আইডি থেকে সরকার ও সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে উস্কিয়ে দেয়ার হীন মানসিকতার আক্রমণাত্মক মিথ্যা-ভীতি প্রদর্শক তথ্য উপাত্ত প্রকাশ করে। যেমন: স্বাধীন বাংলাদেশ সংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনকে ‘বেহুদা কমিশন’, বাংলাদেশের বৈধ নির্বাচিত সরকারকে বারবার ‘অবৈধ অনির্বাচিত সরকার’ বলা, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিরোধী’, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মীদের বার বার কুলাঙ্গার বলে এবং বাংলাদেশ সরকারকে ‘বিদেশী পা চাটা তাবেদার সরকার’ বলে বিভিন্ন অশালীন বক্তব্য প্রকাশ করে। এছাড়া এই মামলার বাদিকে নাম উল্লেখ করে ‘মাদকাসক্ত ও ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী’ অসত্য মানহানিকর বক্তব্য পেশ করে। আসামি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দাঙ্গাফ্যাসাদের মাধ্যমে দেশে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাদির মান-সম্মান বিনষ্ট করেছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী একরাম হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, মামলাটি আদালত আমলে নিয়েছেন। এখন এটি আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে।