আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শফি উদ্দিন চৌধুরী।
পরে এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, জালিয়াতির মাধ্যমে প্লট সৃষ্টি করে বরাদ্দসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রামের চার সাংবাদিক, তাদের স্ত্রীসহ নয়জনের বিরুদ্ধে গত ২৫ নভেম্বর মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
নয়জনের মধ্যে চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব উল আলম, সাবেক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সাবেক কোষাধ্যক্ষ শহীদ উল আলম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাশ, তার স্ত্রী তপতী দাশ, শহীদ উল আলমের স্ত্রী তসলিমা খানম, নিজাম উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হোসনে আরা আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাদের ২৪ ডিসেম্বর মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি নগরীর বায়েজিদ থানার শেরশাহ এলাকায় অবস্থিত।
মামলায় বলা হয়- তাদের মেয়াদে সোসাইটির অনুমোদিত নকশায় মসজিদ ও কবরস্থানসহ পার্শ্ববর্তী সরকারি জমি দখল দেখিয়ে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে বানোয়াট’ নকশা প্রণয়ন করা হয় যাতে সিডিএর কোনো অনুমোদন নেই। পরে নকশা বর্হিভূত তিনটি প্লট তিন সাংবাদিক শহীদ উল আলম, নির্মল চন্দ্র দাশ ও নিজাম উদ্দিন আহমেদের স্ত্রীদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়। যদিও তারা সোসাইটির সদস্য নন। পরে নির্মল দাশের স্ত্রী তপতী দাশ তার নামে বরাদ্দ প্লটটি মো. সেলিমের কাছে এবং শহীদ উল আলমের স্ত্রী তাসলিমা খানম তার নামে বরাদ্দ প্লট হুমায়েরা ওয়াদুদের কাছে বিক্রি করে দেন।