মনে করা হচ্ছে, চীন ও পাকিস্তান উভয়ের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনাকে মাথায় রেখে ভারত এই প্রস্তুতি নিচ্ছে। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগে এই সরঞ্জাম ৪০ দিনের জন্য মজুদ রাখার কথা বলা হয়েছিল, তবে পরে তা কমিয়ে ১০ দিন করা হয় ও নতুন নির্দেশে সেটি বাড়িয়ে করা হলো ১৫ দিন।
উল্লেখ্য, উরিতে হামলার পরে মনে করা হচ্ছিল ১০ দিনের যুদ্ধ সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা খুব একটা স্বস্তিদায়ক না। তাই তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পরিক্কর তিন বাহিনীর অর্থনৈতিক প্যাকেজ ১০০ কোটি থেকে ৫০০ কোটিতে রূপান্তরিত করেছিলেন। যাতে যুদ্ধের প্রয়োজনীয় অস্ত্র ক্রয় করা যায়।
অন্যদিকে বিরোধী বাহিনীও চুপচাপ বসে নেই। চীনা সেনা নিজেদের শক্তিশালী করতে শুরু করেছে। নতুন তথ্য অনুসারে, চীনা সেনা ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রস্তুতি বাড়াতে বেশ কয়েকটি সামরিক শিবির স্থাপন করেছে।
মে মাসের পর থেকে পূর্ব লাদাখের লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজক পূর্ণ পরিস্থিতি রয়েছে। উভয় দেশের সেনা এলএসি-র কাছে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছিল। এই অচলাবস্থার সমাধানের জন্য, উভয়পক্ষই বেশ কয়েকদফা বৈঠক করলেও এর কোনও নিরপেক্ষ ফলাফল পাওয়া যায়নি। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া