পরে মাহফুজ বিন ইউসুফ বলেন, গত নভেম্বর মাসে এক অনুষ্ঠানে তিনি (বিচারপতি) সাইকেল চালানোর কথা বলেছেন। তিনি কথা রেখেছেন। গত সপ্তাহে আমরাসহ গিয়ে ওনার জন্য সাইকেল কিনেছি। আজকে সকালে আমি ও ইমতিয়াজ ফারুক ভাই ধানমন্ডি থেকে সাইকেল চালিয়ে কাকরাইলের জাজেস কমপ্লেক্সে আসি। পরে সকাল নয়টার দিকে বিচারপতি মহোদয়সহ আমরা সাইকেল চালিয়ে হাইকোর্টে এসেছি। আমরা আইনজীবীরা উচ্ছ্বসিত। পরিবেশবান্ধব এ বাহনের জন্য আলাদা লেনের দাবি রয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল স্যারও আমাদের পক্ষে রয়েছে। আশা করি আলাদা লেন হবে এবং অনেকে সাইকেলে অভ্যস্ত হবেন।
‘দূষিত না করাই একমাত্র সমাধান’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সুপ্রিম কোর্টের তরুণ আইনজীবীরা ‘কাউন্সেল অন সাইকেল’ নামে একটি সংগঠনের যাত্রা শুরু করেন। এ সংগঠনের জন্য সুপ্রিম কোর্ট বারে একটি শেড তৈরি করা হয়।
গত ৫ নভেম্বর ওই শেড উদ্বোধনে প্রধান অতিথি ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, সাইকেলের কোনো তেল খরচ হয় না, পরিবেশবান্ধব। আমি নিজেও সাইকেলে আসতে চাই বাসা থেকে। আমি সাইকেল একটা কেনার চেষ্টা করছি, ইনশাআল্লাহ এ বছর। আমি কিনে কোর্টে গাড়ি রেখে সাইকেলে বাসা থেকে হাইকোর্টে আসবো, ইনশাআল্লাহ। মাঝে মাঝে আমরা আসবো, তাতে অসুবিধার কী আছে! এতে সরকারের ফুয়েল সেভ হবে। পরিবেশ রক্ষা পাবে, রাস্তায় যানজট থেকে রক্ষা হবে। আমরা বাসা থেকে একশ গাড়ি নিয়ে যখন কোর্টে আসি তখন একশটা গাড়ির ট্রাফিকও সাংঘাতিক।পরে সভাপতির বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আমি এখনই সড়ক পরিবহন সচিবকে অনুরোধ করবো। কম করে হলেও ঢাকা শহরে সড়কগুলোর কিছু সড়কে যেন আলাদা সাইকেলের জন্য লেনের ব্যবস্থা করেন। আশা করি এটা করা যাবে।