ঢাকা: পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে ১৬৯ বার পদ্মা সেতু প্রকল্পের সাইট পরিদর্শন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আবু নাসের নিজের ফেসবুকে এ তথ্য প্রকাশ করেছেন।তিনি বলেন, কমিটমেন্ট সুদৃঢ় হলে যে কোনো দুর্গম পথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব। পদ্মার দুই তীরের অসংখ্য মানুষ, যারা নিজের শেষ আশ্রয়, বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি দিয়ে স্বপ্নের জাল বুনেছেন, তাদের দুই চোখে আজ আনন্দাশ্রু।
সেতু মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আরো জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার মাওয়া প্রান্তে মূল পদ্মা সেতুর ১২ এবং ১৩ নম্বর পিলারের উপর দুপুর ১২টা ০২ মিনিটে সর্বশেষ ৪১তম স্প্যান স্থাপনের মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো সেতুর ৬.১৫ কিলোমিটার। মূল সেতুর ২৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ১৩৩৩টি এবং ২৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ১৯৪২টি স্থাপন করা হয়েছে। মাওয়া ও জাজিরা ভায়াডাক্টে ৪৮৪ সুপারটি গার্ডারের মধ্যে ৩২১টি স্থাপন করা হয়েছে। মূল সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি শতকরা ৯১ ভাগ। নদীশাসন কাজের বাস্তব অগ্রগতি শতকরা প্রায় ৭৬ ভাগ। ইতোমধ্যে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের সংযোগ সড়কের শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের অনুমোদিত ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৮২ দশমিক ৫০ ভাগ। আবু নাসের উল্লেখ করেন, ৪১তম পাপড়ি স্থাপনের মধ্য দিয়ে প্রস্ফুটিত হলো দেশের সক্ষমতার ‘পদ্মফুল’; আমাদের স্বপ্নের বর্ণিল দিগন্ত পদ্মা সেতু। দুর্নীতির অপবাদ ঘুচিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর নদীজনিত বিচ্ছিন্নতা জয় করলেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। সরকারের সাফল্যের মুকুটে যোগ করলেন আরও একটি হিরন্ময় পালক। তিনি প্রমাণ করেছেন, বাঙালি বীরের জাতি।