মানিকগঞ্জ সবজির জন্য বিখ্যাত। শীতকালীন সবজি মানিকগঞ্জের ফুলকফির সুনাম রয়েছে। এখানকার ফুলকফি জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়। এতে বেশ লাভবান হন ফুলকফি চাষিরা।বন্যার পানি দেরিতে নেমে যাওয়ায় ফুলকফি চাষ দেরিতে হয়েছে। ফলে আগের মতো দাম পাচ্ছে না কৃষক। প্রথমে ভাল দাম পেলেও এখন কমদামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
আড়তদাররা জানান, এখন সবজির ভরা মৌসুম। একসাথে সব ধরনের সবজি বাজারে আসায় কফিসহ সকল সবজির দাম কমে গেছে। বন্যায় বিভিন্ন ধরনের আগাম সবজি নষ্ট হওয়ায় এবার ফুলকফি আবাদ হয়েছে বেশি। এ কারণে কফির ভাল ফলন হলেও ক্ষতির মুখে রয়েছে কৃষক।
সদর উপজেলার ঢাকুলী গ্রামের সবজি চাষি আব্দুল মোন্নাফ, হযরত আলীসহ অনেকেই জানান, এবার ফুলকফির ফলন ভালো। তবে প্রতিদিনই দাম কমছে। মনে করছি সবজি বিক্রি করে বন্যার ক্ষতি পূরণ হবে। কিন্তু তা আর হলো না। খুচরা বাজারে দাম বেশি হলেও আমরা একেবারেই দাম পাচ্ছি না।
কৃষকদের দাবি, বাজার তদারকি করে মূল্য নির্ধারণ করা। ধানের মতো সবজির দাম নির্ধারণ হলে সঠিক দাম পাওয়া যাবে বলে কৃষকদের বিশ্বাস।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সাহজাহান আলী বিশ্বাস বলেন, জেলায় এবার অধিক সবজি চাষ হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার ফলনও ভাল হয়েছে। কৃষকরা প্রথমে ফুলকফির দাম ভালই পেয়েছে। সব ধরনের সবজি একসাথে বাজারে আসায় বর্তমানে ফুলকফির দাম কিছুটা কমেছে। এতে কৃষকের ক্ষতি হবে না। কিন্তু লাভ কিছুটা কম হবে।