নিজস্ব প্রতিবেদক ; আগামী ১০ ও ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য পৌরসভা এবং উপজেলা নির্বাচনে সরকার প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এমরান সালেহ প্রিন্স। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। প্রিন্স বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করার জন্য বিএনপি প্রার্থী মতিউর রহমান ঝালুকে অনৈতিকভাবে চাপ দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয়েছে। গত ৫ ডিসেম্বর ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নায়াব ইউসুফের খাবাসপুরের নির্বাচনী ক্যাম্প রাতের অন্ধকারে আওয়ামী লীগের কর্মীরা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাহমুদুল হাসানকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থী হুমকি দিয়েছেন। তাকে হত্যা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও বসত ঘর জ¦ালিয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়া হয়। ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা-মামলা ও হয়রানি চলছে বলেও অভিযোগ করেন প্রিন্স। তিনি অভিযোগ করেন, পাবনার ঈশ্বরদী ও বেড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে, তাদের প্রচার প্রচারণায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং আগের দিন পোস্টার লাগালে পরের দিনই তা ছিঁড়ে প্রকাশ্যে অগ্নিসংযোগ করে ভীতি ছড়ানো হচ্ছে। প্রচারণার মাইক ও অটোরিকশা ভাংচুর করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে। বরগুনা জেলার বেতাগী পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। প্রচার-প্রচারণায় বের হলেই বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর প্রকাশ্যে হামলা চালানো হচ্ছে। এমরান সালেহ বলেন, ওইসব এলাকায় নির্বাচনের কোন সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। ক্ষমতার দাপটে প্রশাসনকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং তাদের নেতাকর্মীরা বেপরোয়াভাবে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের নামে বিএনপি প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। প্রশাসনকে দিয়ে অন্যায়ভাবে বিএনপির নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।