ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার হওয়া ইয়াছিনের মা ফিরোজা বেগম বলেন, আমার ছেলে স্থানীয় ভাই ভাই স্পিনিং মিলের শ্রমিক। সে ছুটির পর শ্রমিক বহনের গাড়ি দিয়ে বাড়িতে ফিরছিল। রাস্তা থেকে পুলিশ তাকে আটক করে মামলায় নাম ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমার ছেলে নির্দোষ। আমি তার মুক্তি চাই।
একই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া কামরানীর চর এলাকার আরিফের বাবা শাজাহান বলেন, আমার ছেলে কর্মস্থল থেকে ফেরার সময় রাস্তা থেকে পুলিশ আটক করে মামলায় ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমার ছেলে নির্দোষ। সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না।
ঝাউগড়া এলাকার মাহিম ইসলাম আকাশের পরিবারের লোকজন বলেন, আকাশ আড়াইহাজার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাকে শোবার ঘর থেকে পুলিশ আটক করে মামলায় ঢুকিয়ে দিয়েছে। সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না।
ঝাউগড়া এলাকার এক যুবক নাম নাপ্রকাশের শর্তে বলেন, ঝাউগড়া উত্তপাড়া এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের পরিচয়ধারী স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ৪৫০টি পরিবারের কাছ থেকে ৫শ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে গ্যাসের অবৈধ সংযোগ নিতে উৎসাহিত করেছেন। এখন মামলার আসামি হয়েছে নিরীহ গ্রামবাসী। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকেই গ্রেফতার এড়াতে পুরো গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। অনেক পরিবারেরই সব সদস্যরা এলাকা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আড়াইহাজার থানার (ওসি তদন্ত) শওকত হোসেন বলেন, নির্দোষ কেউ যেন হয়রানি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলার বাদী প্রকৌশলী মো. মিজবাহ-উল-রহমান বলেন, একই এলাকায় চলতি বছরের ১০ নভেম্বর অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অবৈধভাবে একই সংযোগ আবারও নিয়ে কিছু অসাধু লোকজন ব্যবহার করছিল। এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুনরায় অভিযান চালানো হয়।