ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: ডিআইজি

ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: ডিআইজি

কুষ্টিয়া: ‘শুক্রবার (০৪ ডিসেম্বর) রাত ২টা ১৬ মিনিটে পাঞ্জাবি-পাজামা পরিহিত দুই মাদ্রাসা ছাত্র হেঁটে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যস্থলে আসেন। এরপর ভাস্কর্যের গা ঘেঁষে থাকা মই বেয়ে উপরে উঠে পিঠে থাকা ব্যাগ থেকে হাতুড়ি বের করে প্রথমে বঙ্গবন্ধুর হাতের উঁচু তজুনে আঘাত করেন।হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে করে হাত ও পরে মুখের অংশে ভাঙচুর করে। প্রায় ৯ মিনিট পর ওই মই দিয়ে নেমে হেঁটে চলে যান তারা। পুলিশ ওই দুই মাদ্রাসা ছাত্রসহ মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। ’রোববার (০৬ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্সের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি ড.খ মহিদ উদ্দিন।তিনি বলেন, বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে প্রথমে দুই মাদ্রাসা ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ভিডিও দেখে তারা ভাস্কর্য ভাঙা দুইজনকে চিনতে পারেন। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) রাতভর অভিযান চালিয়ে ভারত সীমান্তের দৌলতপুরের ফিলিপনগর গোলাবাড়ি এলাকার নিজ গ্রাম থেকে সামছুল আলমের ছেলে সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০) ও মিরপুর উপজেলার শিংপুর থেকে সমসের মৃধার ছেলে আবু বক্কর ওরফে মিঠুনকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়। এরা কুষ্টিয়া শহরের জুগিয়া পশ্চিমপাড়ার ইবনে মাসউদ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।পরবর্তীকালে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ওই মাদ্রাসার দুই শিক্ষক তাদের পালাতেও সাহস জুগিয়ে সহযোগিতা করেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে শিক্ষক আল আমিন (২৭) ও ইউসুফ আলীকে (২৬) গ্রেফতার করেছে। আল আমিন মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ও ইউসুফ আলী পাবনা জেলার আমিনপুর থানার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মণ্ডলের ছেলে।সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি আরও বলেন, ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ ঘটনায় পুরো দেশ যেমন ব্যথিত হয়েছে আমরাও তাই। তদন্ত চলছে, ইতোমধ্যে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন