বর্ষার আগেই ডিএসসিসির ১১ খাল দখলমুক্ত হবে: তাপস

বর্ষার আগেই ডিএসসিসির ১১ খাল দখলমুক্ত হবে: তাপস
ঢাকা: আগামী বর্ষার আগেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১১টি খাল দখলমুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানী শ্যামপুর খাল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ঢাকার জলাবদ্ধতার মূল কারণ খাল দখল। ঢাকার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত খালগুলো যেমন দখল হয়েছে, তেমনি খালগুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনরুদ্ধার করা হয়নি। কিছুদিন আগে খালগুলো ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করা হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় যে ১১টি খাল রয়েছে, এ খালগুলো পুনরুদ্ধার রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছি। আগামী বর্ষার আগেই আমরা এ খালগুলো নিজস্ব অর্থায়নে পুনরুদ্ধার করবো এবং পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে নান্দনিক পরিবেশ করে তুলবো। আপনাদের সবার সহযোগিতা পেলে ঢাকাবাসীকে আমরা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে পারবো।
শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, খালগুলো দখলমুক্ত করতে আমরা স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম নিয়েছি। স্বল্পমেয়াদি কার্যক্রম আমরা নিজ অর্থায়নে শুরু করেছি। প্রথম কাজ হচ্ছে খালগুলো দখলমুক্ত করা। সিএস খতিয়ান দেখে আমরা খালগুলো দখলমুক্ত করবো। খালের সব বর্জ্যগুলো অপসারণ করা হবে। ফলে খালের জলপ্রবাহ পুনরুদ্ধার হবে। জলপ্রবাহ পুনরুদ্ধার হলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে না আশা করি। আমরা আশাবাদী আগামী দু’বছরের মধ্যে ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে পারবো।

বক্স-কালভার্ট বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা জানেন বক্স-কালভার্টগুলো দীর্ঘদিন ধরে সঠিকভাবে পরিচর্যা করা হয়নি। বিশেষ করে পান্থপথের বক্স-কালভার্ট, ধোলাইখালের বক্স-কালভার্ট এগুলো দীর্ঘদিন সঠিকভাবে পরিষ্কার করা হয়নি। আমরা অচিরেই খালগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করবো। পরবর্তীতে বিচার বিশ্লেষণ করে দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম নেবো।

ওয়াসার জনবল সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যতটুকু জনবল এবং যন্ত্রপাতি আমাদের প্রয়োজন হবে, সেগুলো আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে নেবো। সব জনবল আমাদের, যেটা প্রয়োজন নেই তা নেবো না। এ বিষয়ে দুটো কমিটি করা হবে তারা বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে, রূপরেখা প্রণয়ন করবেন, এরপর আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো। যারা অবৈধভাবে খালের জমি দখল করেছে তাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা আশাবাদী।এর আগে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জিরানি খাল, শ্যামপুর খালের চলমান বর্জ্য অপসারণ ও সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন