জাপানের রাজা নারুহিতোর ছোট ভাই যুবরাজ ফুমিহিতোর মেয়ের বাগদান হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রেমিকের সঙ্গে। ২০১৮ সালে বাগদান হলেও এক আর্থিক জটিলটায় আর বিয়ে করা হয়নি। অবশেষে দীর্ঘদিন পর সেই বিয়েতে রাজি হয়েছেন যুবরাজ। আকিশিনো নামেও পরিচিত ফুমিহিতো।
আজ সোমবার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি। মোমুরোর মায়ের এক আর্থিক জটিলতায় আটকে যাওয়া রাজকুমারী মাকো ও প্রেমিক কেই কোমুরোকে বিয়ে করতে আর কোনো বাধা রইলো না।
সেইসঙ্গে রাজপরিবারের বাইরে কাউকে বিয়ের মধ্য দিয়ে রাজশিরোপা হারাতে যাচ্ছেন মাকো। তিনি আর রাজকুমারীর মর্যাদা পাবেন না। জাপানের রাজপরিবার আইন ১৯৪৭ অনুসারে, রাজকন্যারা সাধারণ ব্যক্তিকে বিয়ে করলে রাজপরিবার ছাড়তে হয়। জাপানের আইন অনুযায়ী রাজপরিবারের নারী সদস্যরা সাধারণ কোনো মানুষকে বিয়ে করলে রাজকীয় উপাধি ত্যাগ করতে হয়। রাজপ্রাসাদ বিসর্জন দেওয়ার পর গৌরব ধরে রাখার জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের এককালীন মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে দেওয়া হয়।যদিও বর্তমান রাজকন্যাকে বিয়ে করতে রাজপরিবারে কোনো পুরুষ সদস্যও নেই। তবে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে নারীদের মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে জাপানে ইতিবাচক জনমত আছে।
অবশ্য এটিই প্রথম নয়। এর আগে ২০০৫ সালে সম্রাট আকিহিতোর মেয়ে সায়াকো সাধারণ একজনকে বিয়ে করে রাজপরিবার ছেড়ে চলে যান। এককালীন ১৩ লাখ ডলার পেয়েছিলেন তিনি।
কোমুরো ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে নিউইয়র্কের ফোরহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বার এক্সাম দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে পড়াশোনা করছেন। ২০১৭ সালে সেপ্টেম্বরে ২৯ বছর বয়সী প্রিন্সেস মাকাও এবং কোমুরো তাদের বাগদানের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। ২০১৮ সালে নভেম্বরে তাদের বিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে জানিয়ে দেওয়া হয় ২০২০ সাল পর্যন্ত তাদের বিয়ের প্রস্তুতি স্থগিত করা হয়েছে।