অগ্রিম ভোট
এবারই দেশটিতে সর্বাধিক সংখ্যক অগ্রিম ভোট জমা পড়েছে। এবার ডাকযোগে ভোট দিয়েছেন মোট ভোটের প্রায় ৬৮ শতাংশ। ২০১৬ সালে এর পরিমাণ ছিল ৩৪ শতাংশ।
ডাকযোগে আসা এসব ভোট গণনা বেশ জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। প্রতিটি ভোটের সঙ্গে ভোটারের এবং স্বাক্ষীর ঠিকানা, স্বাক্ষর এবং অন্যান্য যাবতীয় তথ্য যাচাই করে দেখতে হয়। এরপর সেটি বৈধ ভোট হিসেবে গণনার জন্য ভোটিং কাউন্ট মেশিনে দেওয়া হয়। এ কাজটি করাও বেশ জটিল।
খামের ভেতরে ভাঁজ হয়ে আসা প্রতিটি ব্যালট পেপারকে ভাঁজ খুলে সোজা করতে হয়। তবেই সেটি প্রবেশ করবে ব্যালট কাউন্ট মেশিনে।
একেক রাজ্যের একেক নিয়ম
ডাকযোগে আসা ভোট গণনার ক্রম নিয়েও একেক রাজ্যে আছে একেক নিয়ম। কিছু কিছু রাজ্যে ৩ নভেম্বর ভোটের দিন সকাল থেকেই মেইল ভোট গণনা শুরু হয়। ফলে দিনশেষে সরাসরি বুথে এসে দেওয়ার ভোটের সঙ্গেই মেইল ভোটের সংখ্যা যোগ করে ফলাফল দেওয়া সম্ভব হয়।
আবার কিছু কিছু রাজ্যে বুথের ভোট গণনা শেষে মেইল ভোট গণনা করা হয়। নেভাডা, আলাস্কা, জর্জিয়া, পেনসিলভানিয়ার মতো রাজ্যে এখনও ফলাফল প্রকাশিত হয়নি, সেগুলো মূলত এ নিয়মটিই চর্চা করে।
যে কারণে এ মুহুর্তে দেশটির স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) দিনগত রাত পেরিয়ে শুক্রবার (৬ নভেম্বর) রাত ১টার বেশি হলেও এখনও এসব রাজ্য থেকে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়নি।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
অনেক সময় ভোট গণনা বাকি থাকলেও প্রার্থীদের মধ্যেকার ব্যবধান থেকে সহজেই বিজয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা যায়। কিন্তু এবার ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যেকার হাড্ডাহাড্ডির লড়াইয়ের কারণে এখনই ফলাফল নূন্যতমভাবে অনুমানও করা যাচ্ছে না।
উইসকনসিন ও মিশিগানের মতো স্টেটে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত বাইডেনের কাছে হারতে হয়েছে ট্রাম্পকে। আবার জর্জিয়ার মতো রিপাবলিকান আধিপত্য থাকা রাজ্যেও এগিয়ে আছেন বাইডেন।কাজেই ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ৩ নভেম্বর দিনগত রাত ১২টার কিছু পরেই ফলাফল পেয়ে গেলেও এবার এমনটা হচ্ছে। এরই মধ্যে ভোটের দুইদিন পেরিয়ে যাওয়া এ নির্বাচনের ফলাফল স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সন্ধ্যা) নাগাদ স্পষ্ট হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।