ঢাকা: গণসংযোগে বাধা, একই স্থানে পাল্টা কর্মসূচি ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিলেও কোনো সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা-১৮ উপ-নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি বলেন, ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার দেখে আওয়ামী লীগ ভয় পেয়ে গেছে।
সেজন্য তারা হামলা করছে, পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। এটা কিসের আলামত? এটা গণতন্ত্রের আলামত নয়। আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিলেও কমিশন পাত্তা দিচ্ছে না।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উত্তরা-১ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন সড়কে গণসংযোগ শেষে জিয়ানজিয়ান চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সামনের সড়কে সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি একথা বলেন।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিএনপি প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেনের উত্তরখান মাজার থেকে গণসংযোগ শুরুর কথা ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের বাধার কারণে সেখানে গণসংযোগ না করে বিকল্প হিসেবে উত্তরা-১ নম্বর সেক্টরে গণসংযোগ করেন এসএম জাহাঙ্গীর।
নেতাকর্মী ও ভোটারদের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামল ১৯৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত দেশে কোনো গণতন্ত্র ছিল না। বর্তমান শেখ হাসিনার আমলেও কোনো গণতন্ত্র নেই। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নির্দেশ জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও মানুষের ভোটাধিকার রক্ষা করতে হবে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজনে জীবন দেবো।
বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, আমরা বিশৃঙ্খলায় বিশ্বাসী না, মারামারিতে বিশ্বাসী না। বিএনপি শান্তিপ্রিয় দল, শান্তিতে বিশ্বাসী। এখন পর্যন্ত আমরা ধৈর্য ধরে আছি। আমাদের ধৈর্য ধারণ মানে এই না যে আমরা দুর্বল। জনগণের ওপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস আছে। জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে, তারা ধানের শীষে ভোট দেবে।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা ভোটকেন্দ্রে আসবেন, ভোটাধিকার নিয়ে কেউ ছিনিমিনি করতে পারবে না। ঢাকা-১৮ থেকে গুম, খুন, হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন, সন্ত্রাস, দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজয় শুরু হবে।
এসময় এসএম জাহাঙ্গীরের সঙ্গে ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলম, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ফখরুল ইসলাম রবিন, জিয়া পরিষদের মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন, ছাত্রদলের আমজাদ হোসেন শাহাদাত, বাংলা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আইয়ুব হোসেনসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।