এবি সিদ্দিক দিপু মামলার এজাহারভুক্ত ২ নস্বর আসামি।সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৩ টার দিকে টাঙ্গাইল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের রমনা বিভাগ উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আসামি এবি সিদ্দিক দিপু নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিমকে সবচেয়ে বেশি মারধর করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করে মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
এর আগে সোমবার ভোরে ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নিজেই বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ইরফান সেলিমসহ চারজনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই গাড়িচালককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ইরফানের গাড়ি ওয়াসিমকে ধাক্কা মারার পর নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামান এবং গাড়ির সামনে দাঁড়ান। নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনই মেরে ফেলবো’। এরপর বের হয়ে ওয়াসিমকে কিল-ঘুষি মারেন এবং তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। তারা মারধর করে ওয়াসিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান। তার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডির ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যান।