‘কারণ এরমধ্যে কারো কারো জন্য জেএসসির সনদটি খুব জরুরি হতে পারে। কাজেই তাকে সনদটি দেওয়া হবে। এবার যেমন সবাই পরবর্তী ক্লাসে চলে যাচ্ছি, সেভাবেই আমরা সনদে উল্লেখ করবো। সে যে কৃতকার্য হয়েছে বা সে যে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শেষ করেছে সেটি উল্লেখ থাকবে। ’
২০১০ সাল থেকে অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের জেএসসি-জেডিসির সনদ দেওয়া হচ্ছে। এবছর এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করে জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসির ফলাফলে ভিত্তিতে এইচএসসির ফল দেওয়া হবে বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য-এ তিন বিভাগে ভর্তি নিয়ে এক প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অভিভাবক এবং শিক্ষকরা দেখছেন তাদের অ্যাসেসমেন্ট। তারা যে বিভাগে যেতে চাইবে সেভাবে দেওয়া হবে। তারপরও সমস্যা দেখা দিলে খুব বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হলেই ভালো। শিক্ষার্থীরা যেন যতেটা সম্ভব লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা শিখনফল অর্জন করল কিনা, সেটি শুধু কিন্তু বছরের শেষে বা মাঝখানে কতগুলো পরীক্ষা দিয়ে মূল্যায়ন করা যায়, তা কিন্তু নয়। আরও বহু ধরনের মূল্যায়নের পদ্ধতি রয়েছে, আমরা এখন ধারাবাহিক সেই মূল্যায়নের পদ্ধতি যেগুলো আছে সেগুলোতে যেতে চেষ্টা করছি এবং শিক্ষার্থীদের কোথায় কোথায় দুর্বলতা আছে, সামগ্রিক কারিকুলামের কোথায় দুর্বলতা আছে, আমরা সেগেুলো চিহ্নিত করে দূর করতে চাই।
করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা বাতিল করে অন্যান্য শ্রেণির ন্যায় অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন করে সব শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে পাঠানো হবে।