লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নে ধর্ষণের শিকার সেই চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী (১২) অবশেষে মা হয়েছেন। মেয়েটি গত সোমবার রাতে রংপুরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পুত্রসন্তান জন্ম দেয়। পরিবারটি অতিদরিদ্র হওয়ায় স্থানীয় ইউডপি চেয়ারম্যান ওই ধষির্তা মায়ের যাবতীয় ব্যয় বহন করেন।
পুলিশ জানায়, বুড়িমারী ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের তহিদুল ইসলামের ছেলে ওয়াজেদ আলী (৩৫) চতুর্থ শ্রেণির ওই শিশুটিকে একাধিকবার ফুসলিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় মেয়েটির (ছাত্রীর) বাবা বাদী হয়ে গত ২৬ জুলাই পাটগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, বুড়িমারী ইউনিয়নের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর (১২) দিনমজুর বাবা-মা পাথর ভাঙার মেশিনে কাজ করতেন। বাড়িতে অন্য কেউ না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী একই ইউনিয়নের দুই সন্তানের জনক ওয়াজেদ আলী দীর্ঘদিন ধরে ফুসলিয়ে ও বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষিতা মেয়েটি মা হয়েছে। তবে আসামি পলাতক থাকায় এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।