ঢাকা: টেলিভিশন সাংবাদিকদের বেতন কাঠামো সংক্রান্ত গণমাধ্যমকর্মী আইনের ভেটিং (যাচাই-বাছাই) সম্পন্ন হয়েছে। এটি দ্রুতই আইন হিসেবে প্রণয়ন করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
অনেক আগেই এটি মন্ত্রিসভা হয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে গেছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে সবশেষ খবর হচ্ছে আইন মন্ত্রণালয় সেটি ভেটিং করে ফেলেছে। সুতরাং আশা করছি, এ আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারব।
বুধবার (৭ অক্টোবর) তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
টেলিভিশন সাংবাদিকদের বেতন কাঠামো নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা বেতন কাঠামো নিয়ে আলোচনা করিনি। কারণ, কাঠামো একটা বড় ব্যাপার। তবে বেতন কাঠামোর একটি আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।
গণমাধ্যম কর্মীদের ছাঁটাই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারির সময়ে গণমাধ্যম মালিকদের সীমিত সামর্থ্য থাকলেও বা সামর্থ্যের অভাব থাকলেও ছাঁটাই না করে দুঃখটাকে ভাগাভাগি করে নিতে হবে। আগামীতে যাতে চাকরিচ্যুত না হয় সে জন্য সরকার, মালিক ও সাংবাদিক যৌথভাবে কাজ করবে।
টেলিভিশন পে-চ্যানেল হওয়া প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কোনো টেলিভিশন পে-চ্যানেল হবে কি হবে না সেটি সেই টেলিভিশনকেই নির্ধারণ করতে হবে। এটি সরকার নির্ধারণ করে দেবে না। সেটি ভোক্তা এবং টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের বিষয়। আমাদের দেশে যেকেউ পে-চ্যানেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এটাতে কোনো বাধা নেই। তবে ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেমটা ডিজিটালাইজড না হলে এটা করা কঠিন।
তিনি বলেন, করোনা না হলে হয়তো এতদিন অনেক কিছুই হয়ে যেত। করোনার কারণেই আমরা এ ব্যাপারে যেভাবে আগাচ্ছিলাম সেভাবে এগোতে পারিনি। তবে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভাব ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেমটাকে ডিজিটালাইজড করা। এটি বাস্তবায়নে কাজ চলছে।