ভোলা: বিলম্বে হলেও ভোলার মেঘনায় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ইলিশ। এতে কিছুটা হলেও সন্তুষ্ট জেলেরা।
ঘাটগুলো সরগরম হয়ে ওঠার পাশাপাশি ব্যস্ততা বেড়েছে জেলেদের।
জেলেরা জানান, ইলিশ মৌসুম ফুরিয়ে যাওয়ার শেষ পর্যায়ে এসে যে পরিমাণ ইলিশ মিলছে তা তুলনামূলক কম। তবুও জাল নৌকা নিয়ে নদীতে ছুটছেন জেলেরা। বিগত সময়ের লোকসান পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তারা।
এদিকে, জেলেদের আহরিত মাছ ঘাটেই আড়তদারের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে। জমজমাট হয়ে ওঠছে মাছের আড়ত। ইলিশ ধরাকে কেন্দ্র করে জেলে পাইকারদের হাকডাকে জমে উঠছে মাছের ঘাট। ব্যস্ততা বেড়েছে জেলে পাড়ায়। অন্যদিকে, পাইকার ও আড়তদারদের বসে থাকার সময় নেই, তাদেরও ব্যস্ততা বেড়েছে। এছাড়াও জাল প্রস্তুত ও মাছ শিকার নিয়েও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কেউ কেউ।
জেলেরা জানান, সারাদিন জাল বেয়ে যে পরিমাণ ইলিশ পাওয়ার কথা বর্তমানে তেমন পাওয়া যাচ্ছে। বিগত সময়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়তো, এ বছরই ভরা মৌসুমে ইলিশের দেখা মেলেনি। বিলম্বে হলেও মাছ ধরা পড়তে শুরু করেছে।
তুলাতলী এলাকার জেলে খলিল জানান, মেঘনায় মাছ শিকার গিয়ে মোটামুটি মাছ পাচ্ছি। আগের তুলনায় কিছুটা ভালো। আমাদের মতো অনেকেই ইলিশের আশায় সারাদিন নদীতে নামছেন জেলেরা। কেউ বেশি মাছ পাচ্ছেন কেউ বা কম।
সফি মাঝি বলেন, আগের তুলনায় ইলিশের আমদানি ভাল। তাই, জাল নৌকা নিয়ে ছুটছি নদীতে।
ধনিয়া এলাকার বশির মাঝি বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে নদীতে মাছ ধরা পড়তে শুরু করেছে। তবে পরিমাণ এখনো বাড়েনি। খুব দ্রুত মাছ বাড়বে বলে আশাবাদি তিনি।
ভোলা জেলে ও মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আরশাদ আলী জানান, মৌসুমের শুরুতে তেমন মাছ পাওয়া যায়নি, তবে কিছুদিন দরে মাছ ধরার পড়ছে, জেলেরা গড়ে ১৫-৩০ হাজার টাকার মাছ পাচ্ছেন। এতে কিছুটা হলেও তারা ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামিন বলেন, বিলম্বে হলেও মাছ ধরা পড়ছে। মাছের পরিমাণ আরো বাড়বে। এ বছর জেলায় ইলিশের লক্ষমাত্রা এক লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন।