শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৫১ কোটি টাকার বৃত্তি

শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৫১ কোটি টাকার বৃত্তি

ঢাকা: তথ্যপ্রযুক্তির সেবা তথা ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সবার কাছে পৌঁছে দিতে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সরকারের ‘রূপকল্প-২০২১’ এর আলোকে ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে হলো অল্প সময়ে, কম পরিশ্রমে এবং স্বল্প ব্যয়ে মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানোর নিশ্চয়তা দেওয়া।

এ লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব বৃত্তি কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের রাজস্ব খাতভুক্ত মেধা ও সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২য় পর্যায়ে জিটুপি পদ্ধতিতে বৃত্তির অর্থ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় অনলাইন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, আগের গতানুগতিক ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের বৃত্তির অর্থ প্রাপ্তিতে বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তির স্বীকার হতে হতো। সরকার জিটুপি পদ্ধতিতে বৃত্তির অর্থ সরাসরি শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাবে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে ভোগান্তির নিরসন করছে। ফলে শিক্ষার্থীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের বরাদ্দ বৃত্তির টাকা পেয়ে যাবে এবং সরকারের অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে ও উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. নুরুল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ অনলাইন সভায় আরো যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৮৫টি ইএফটির মাধ্যমে ৫১ কোটি ৩৬ লাখ ২৮ হাজার ৪৫০ টাকা জিটুপি পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাবে সরাসরি দেওয়া হয়েছে।

গত ২২ জুন দেশের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাধারণ কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বৃত্তিপ্রাপ্ত ৮৩ হাজার ৯৬৪ জন শিক্ষার্থীকে ১৭ কোটি ৩২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৬৫ টাকা সরাসরি তাদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানোর কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সরকারের রাজস্ব খাতভুক্ত পিইসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক (পাস/সম্মান) পরীক্ষাসহ মোট চারটি ক্যাটাগরির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয়।

প্রতি বছর মেধা ও সাধারণ বৃত্তি কোটায় ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫৯ জন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও উপজাতীয় কোটায় ৮ হাজার ৭৬০ জন, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, অটিস্টিক উপবৃত্তি ১ হাজার ৭৩৫ জন, বিভিন্ন পেশামূলক উপবৃত্তি ৭ হাজার ২৩০ জনসহ ঘোষিত বৃত্তির সংখ্যা ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৪। এছাড়া প্রতিবছর আগে থেকে বিভিন্ন শ্রেণির চলমান বৃত্তির সংখ্যা ২ লাখ ৭২ হাজার ৫৬৯। চলমান ও ঘোষিত বৃত্তিসহ এক বছরে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫৩ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি/উপবৃত্তি দেওয়া হয়।

 

 

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

পবিপ্রবিতে ইউজিসি টিমের উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন ও উপাচার্যের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ

আবু সাঈদ হত্যা মামলা: পিবিআইর কাছে আটক বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামক