কানাডীয়ান নাগরিক এবং স্থায়ী বাসিন্দাদের বাবা-মাকে স্পন্সর করার আগ্রহ পত্র আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে জমা নেয়া হবে।
১৩ অক্টোবর দুপুর ১২টা থেকে ৩ নভেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে আগ্রহপত্র জমা দেয়া যাবে বলে ইমিগ্রেশন কানাডা সোমবার ঘোষণা করেছে। চলতি বছর সর্বোচ্চ ১০ হাজার বাবা-মার আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
ইমিগ্রেশন কানাডা জানিয়েছে, তিন সপ্তাহ সময়কালে অনলাইনে জমা হওয়া আগ্রহপত্রগুলো থেকে দ্বৈচয়ন পদ্ধতি বাছাই করে তাদের কাছে আবেদনপত্র পাঠানো হবে। আবেদনপত্র জমা দেয়ার জন্য ৬০ দিন সময় দেয়া হবে।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্পন্সরে আগ্রহীদের আয়ের শর্তাবলী খানিকটা শিথিল করা হচ্ছে। তবে অন্যান্য শর্তাবলী অপরিবর্তিত থাকছে।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৪৯ হাজার আবেদনপত্র নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে ইমিগ্রেশন কানাডা।
সারা বিশ্বে রয়েছে কানাডার জনপ্রিয়তা। উল্লেখ্য আয়তনের দিক থেকে কানাডা ৯ হাজার ৯৮৫ মিলিয়ন কিলোমিটার হলেও জনসংখ্যা মাত্র ৩৬ মিলিয়ন। যার রয়েছে ১০টি প্রভিন্স এবং ৩টি টেরিটোরিজ।
১৯৭১ সালে কানাডাই বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ঘোষণা দেয় মাল্টিকালচারিজমের, যার মূলমন্ত্র হলো সব নাগরিকের থাকবে সমান অধিকার ও দায়িত্ব। যার ফলে দেশটির জন্মলগ্ন থেকে এ পর্যন্ত ১৭ মিলিয়নের বেশি লোক অভিবাসী হয়ে দেশটিতে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। কানাডা শান্তি রক্ষায় সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
কানাডার ইমিগ্রেশন সংস্থার হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর প্রায় আড়াই লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী পাড়ি দেয় কানাডায়। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে কানাডার বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচনী প্রক্রিয়া, শিক্ষা ব্যবস্থা, চিকিৎসা যোগাযোগ ব্যবস্থা, জীবনের নিরাপত্তা, স্থিতিশীল অর্থনীতি, শক্তিশালী ব্যাংকিং ব্যবস্থার কারণে দেশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে কানাডা ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
কানাডায় প্রতিবছর স্থায়ীভাবে বসবাসরত নাগরিকদের তাদের বাবা মাকে নিয়ে আসার জন্য প্রচুর সংখ্যক আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও রয়েছেন। ইমিগ্রেশন কানাডার এই ঘোষণা প্রশংসার দাবি রাখে।