ঢাকা: মিলাররা (মিলকল মালিক) লাখ লাখ টন ধান মজুদ করে রেখেছেন। কৃষকের কাছে এখন ধান না থাকায় এ সুযোগে তারা প্রতি সপ্তাহে চালের দাম বাড়াচ্ছেন।
মিলারদের এ সুযোগ আর থাকছে না, অভিযান শুরু হয়েছে। কোনো অসাধু ব্যবসায়ীকে ছাড় দেওয়া হবে না।
শনিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার, দেশের সকল অনাবাদি জমিতে করতে হবে ফসল চাষাবাদ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদ পরিষদ যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমরা খাবার কেনার সময় আর পুষ্টির দিকে তাকাই না। বাজারে গেলে চকচকে চাল দেখে কিনি। কিন্তু লাল চালের পুষ্টিগুণের কথা ভুলে যাই। কিছু ব্যক্তি শখের বশে এখন এ চালের খোঁজ করেন।
চালের দর বাড়া খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু ব্যবসায়ী-মিলাররা ভাবে তারা মারা যাবে না। তারা শুধু বেশি লাভের আশা করে অথচ করোনাকালে তাদের উচিত ছিল কম লাভ করা। কৃষকের কাছ থেকে সব ধান কেনার পর মিলাররা লাখ লাখ টন ধান মজুদ করে রেখেছেন। কৃষকের কাছে আর ধান না থাকায় তারা সপ্তাহে সপ্তাহে চালের দাম বাড়িয়েছেন। আর এভাবে চলতে পারে না। প্রতিটি জেলার ডিসিদের বলা হয়েছে, অভিযান-জরিমানা চলছে, এটা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস আসার পর থেকে সরকার যেভাবে ত্রাণ বিতরণ করেছে আমার জীবনে এত বিতরণ দেখিনি। করোনা মোকাবিলায় শুধু আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো দল আসেনি। আওয়ামী লীগ ছিল বলেই সব ত্রাণের ভালো বন্টন হয়েছে, জনগণ ত্রাণ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ আজ ক্ষমতায় আছে বলেই দুর্যোগের মধ্যেও দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ, রাস্তা-ঘাটেরর উন্নয়ন চলমান রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জহির উদ্দিন মবুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আল মাহমুদ পলাশ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান প্রমুখ।