প্যারিসে ‘শার্লি হেবডো’ নামক সাপ্তাহিক ব্যঙ্গ পত্রিকার অফিসের বাইরে মাংস কাটার চাপাতি দিয়ে দুই ব্যক্তিকে ২৫ সেপ্টেম্বর কুপিয়েছে পাকিস্তানে জন্ম নেয়া ১৮ বছর বয়সী এক ছেলে। ছেলেটি বলেছে, তার টার্গেট ছিল পত্রিকাটির অফিস। সে জানত না যে, ২০১৫ সালে শার্লি হেবডোর অফিসে হামলার পর পত্রিকাটির অফিস অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করার পর ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে উগ্রপন্থিরা পত্রিকাটির অফিস ও একটি সুপার মার্কেটে গুলি চালিয়ে ১৭ ব্যক্তিকে হত্যা করে।
পাকিস্তানের দৈনিক ‘ডন’ জানায়, ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিচার শুরুর তিন সপ্তাহের মাথায় ২৫ সেপ্টেম্বর হামলা চালানো হয়েছে। ধৃত ছেলেটি বলে, মহানবীর কার্টুন পুনঃপ্রকাশের প্রতিশোধ নিতে সে হামলা চালাতে গিয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনী আক্রমণকারী ছেলেটিসহ নয়জনকে আটক করেছে। এর মধ্যে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছিল প্যারিস নগরীর পাঁতিন এলাকা থেকে; আক্রমণকারী সর্বশেষ ওই এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্টে বাস করত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ধৃতদের মধ্যে একজনকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে। কারণ নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, এ ব্যক্তি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং হামলাকারীকে তিনি ধাওয়া করেছিলেন। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডার্মানিন বলেন, এটি যে ইসলামী সন্ত্রাসবাদীদের হামলা তা পরিষ্কার। সন্ত্রাস দমন বিভাগ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ২৫ সেপ্টেম্বরের হামলার পরপরই নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত যে পদক্ষেপ নেয় প্রধানমন্ত্রী জাঁ কাস্তে তার প্রশংসা করে বলেছেন, ‘প্রজাতন্ত্রের দুশমনরা কখনই জিতবে না।’