বগুড়ার ধুনট উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ কেজি দরের চাল কেলেঙ্কারির অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত অভিযোগটি তদন্তের জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন। এই কমিটিতে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) আহবায়ক এবং উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ও একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে সদস্য করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে (১ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রয়ের পরিবেশক (ডিলার) বেড়েরবাড়ি গ্রামের আব্দুল হাদি মন্ডল। তিনি উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক। তার অধীনে ১০ টাকা কেজির সুবিধাভোগীদের ৭১০টি কার্ড রয়েছে। তিনি সেপ্টেম্বর মাসের ৭১০টি কার্ডের অনুকুলে ২১ হাজার ৩০ কেজি চাল ২০ সেপ্টেম্বর উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করেন। সোমবার দুপুরে বেড়েবাড়ির বাবু বাজার এলাকায় বিক্রয় কেন্দ্র থেকে সুবিধাভোগীদের নিকট ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রি করছিলেন আব্দুল হাদি।
এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেখানে অভিযান চালিয়ে ডিলার আব্দুল হাদির কাছে অবৈধভাবে রাখা ২৩৬টি কার্ড জব্দ করেন। একই স্থানে আব্দুল হাদির ভাগ্নে উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নবাব আলীর মেসার্স তিন ভাই ট্রেডার্স এন্ড সেমি অটোরাইচ মিলের গুদাম। ওই গুদামে প্রায় ৫০০ মণ চাল মজুদ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০০ মণ (৫১ বস্তা) চাল জব্দ করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির আহবায়ক ধুনট উপজেলা সহাকারী কমিশনার (ভুমি) আব্দুল্লাহ আল রনী বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কেলেঙ্কারির অভিযোগের তদন্ত কাজ শুরু করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্চয় কুমার মহন্ত বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।