ঢাকা: বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী আরও আট হাজার টাকা বাড়িয়ে মোট ২০ হাজার টাকা করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৩তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কাজী ফিরোজ রশীদ এবং মোছলেম উদ্দিন আহমদ বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্তসম্মানী পর্যালোচনাপূর্বক অপ্রতুল বলে মনে করে কমিটি। মুক্তিযোদ্ধারা যেন আরেকটু সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করতে পারেন, সেলক্ষ্যে তাদের মাসিক সম্মানী আট হাজার টাকা বাড়িয়ে মোট ২০ হাজার টাকা করার সুপারিশ করা হয়।
এ বৈঠকে সব প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে ‘বীর’ শব্দটি ব্যবহার সংক্রান্ত সচিব কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ মুক্তিযোদ্ধাদের যোগাযোগ রয়েছে এমন সব প্রতিষ্ঠানে দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কিছু কার্যক্রমের বিপক্ষে সংসদীয় কমিটির কাছে বেশকিছু লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাইয়ে কমিটির সভাপতি শাজাহান খানকে আহ্বায়ক এবং কাজী ফিরোজ রশীদ ও মোছলেম উদ্দিন আহমদকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এ বৈঠকে জানানো হয় মুক্তিযুদ্ধের নামে কিছু ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকায় সংসদীয় কমিটির সুপারিশ মোতাবেক জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) সেসব প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল করে।
বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির ‘শ্রেষ্ঠ সন্তান’ বিধায় সূর্য সন্তানদের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় করে রাখতে নিজ নিজ এলাকার সড়কের নামগুলো বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয় নিরূপণে গেজেটেড সংজ্ঞা রয়েছে। এ সংজ্ঞায় আরও কোনো শব্দ যোজন-বিয়োজন বা পরিবর্তন করার প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা তা নিয়ে আগামী বৈঠকে আরও বিশদ আলোচনা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানরাসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।