সাভারে স্কুলছাত্রী নীলা রায় হতাকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার সর্বস্তরের জনতা সম্মিলিতভাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। আজ সকালে সাভার গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডে অরাজনৈতিক ২৬টি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচীতে কয়েক হাজার নারী পুরুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে পাড়া মহল্লায় কমিটি গঠন ও অপরাধীদের জন্য বাঁশের লাঠি প্রস্তুত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
সাভার নাগরিক কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ ড. রফিকুল ইসলাম ঠান্ডু মোল্যার সভাপতিত্বে ও সমন্বয়ক কামরুজ্জামান খানের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, পৌর মেয়র আব্দুল গনি, সাভার চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, তেঁতুলঝোড়া ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর, প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম মানিক মোল্যা, নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন খান নঈম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরে আলম সিদ্দিকী নিউটন, সানজিদা শারমিন মুক্তা, আব্বাস আলী, আয়নাল হক গেদু, সাভার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ আচার্য্য, সচেতন নাগরিক কমিটির ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি শওকত আলী মাহমুদ, সাভার পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী, ৯ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, উলামা পরিষদের মাওলানা আলী আজম, ব্রাহ্মণ সংসদের বিজন গোস্বামী, ইসকনের নিতাই দয়াল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আব্দুল কাদের দেওয়ান, জাগরনী থিয়েটারের স্মরণ সাহা, পূজা উদযাপন পরিষদের প্রদীপ দাস, ফেডারেশন অব কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, এ্যাসেড স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা নূরুজ্জামান, মহিলা পরিষদের জেসমিন আক্তার প্রমুখ। বক্তারা নীলা হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে কিশোর গ্যাং এবং সন্ত্রাস ও মাদক প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সকল জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানানো হয়। সেইসাথে দ্রুত সময়ে ঘাতকদের গ্রেফতার করায় তারা পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার রাত ৮টার দিকে সাভার পৌর এলাকার সাভার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পিছনে দক্ষিণপাড়ায় আব্দুর রহমানের পরিত্যক্ত বাড়িতে ইয়াবার আস্তানায় এ্যাসেড স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নীলা খুন হন। ২০১৭ সালে ওই স্থানে গানের স্কুলের এক শিক্ষককে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল একই গ্যাং সদস্যরা।