শেষ পর্যন্ত ভেঙ্গে গেল গণফোরাম। প্রতিষ্ঠার ২৭ বছর পর দুই ভাগ হলো কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন দলটি। দলের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়াসহ চারজনকে বহিষ্কার করে আগামী ২৬ ডিসেম্বর জাতীয় কাউন্সিলের ঘোষণা দিয়েছে গণফোরামের একাংশ। এই সময়ের মধ্যে কামাল হোসেন রেজা কিবরিয়াকে বাদ না দিলে তার বিরুদ্ধেও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক বর্ধিত সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সভার সভাপতি আবু সাইয়িদ এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। এক বছর আগে দলটির সর্বশেষ কাউন্সিলের পর থেকেই অভ্যন্তরীণ কোন্দল শুরু হয়। রেজা কিবরিয়ার বিরুদ্ধে দলীয় স্বেচ্ছাচারিতা সহ নানা অভিযোগ ওঠে। যার ধারাবাহিকতায় শুরু হয় পাল্টাপাল্টি বহিস্কার। এসব ঘটনা থেকেই শেষ পর্যন্ত ভাঙনের দিকে গড়াল দলটি। যদিও এ নিয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য আসেনি সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কামাল হোসেনের পক্ষ থেকে।
তবে এই বৈঠকের আগেই কামাল হোসেনের এই দলটির সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া অবশ্য সাইয়িদদের সভা ডাকার এখতিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তুলে আসছিলেন। আমন্ত্রণ জানানো হলেও শেষ পর্যন্ত কামাল হোসেন এই বৈঠকে উপস্থি হননি।
জাতীয় প্রেসক্লাবে দলেল নির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষে বেলা একটায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে আওয়ামী লীগের সাবেত তথ্য প্রতিমন্ত্রী বর্তমান গণফোরাম কেন্দ্রীয় নেতা আবু সাইয়িদ বলেন, দলকে শক্তিশালী, গণমুখী এবং তৃণমূলে সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আগামী ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০ আমাদের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
এই জাতীয় কাউন্সিল সফল করার লক্ষ্যে এই সভা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু সাহেবকে আহ্বায়ক করে জেলা নেতৃবৃন্দসহ ২০১ সদস্যের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে দলের সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক বর্ধিত সভার সাংগঠিক সিদ্ধান্ত পড়ে শোনান। উল্লেখ্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর গণফোরামে এসে যুক্ত হন আবু সাইয়িদ।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের শৃঙ্খলা ও গণতন্ত্র অমান্য করে দলের ঐক্য ও স্বার্থ বিরোধী কর্মকা-ের জন্য সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহসীন রশিদ, আ ও ম শফিকউল্লাহ ও মোশতাক আহমেদকে সাধারণ সদস্য পদ থেকে বহিস্কারের কথা জানানো হয়।
২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে গণফোরামের পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল হয় গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে। তিন বছর পর পর জাতীয় কাউন্সিল হওয়ার বিধান থাকলেও একাংশে এক বছরে মাথায় আবার কাউন্সিল আহবান করলো।
জাতীয় প্রেস ক্লা্বরে তৃতীয় তলায় আবদুস সালাম হলে তাদের সভার টানানো ব্যানারে লেখা ছিল ‘অর্থবহ পরিবর্তনের লক্ষ্যে চাই জাতীয় ঐক্য : বর্ধিত সভা: গণফোরাম’। বিগত কমিটির নির্বাহী সভাপতি আবু সাইয়িদের সভাপতিত্বে এই বর্ধিত সভায় ৫২ জেলার ২৮৩ জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলন জানানো হয়।
বর্ধিত সভার মূল মঞ্চে ছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, সাবেক নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক, আসাদুজ্জামান, খান সিদ্দিকুর রহমান, আবদুর রায়হান, মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, ফজলুল হক সরকার, এম এ মতিন।
বর্ধিত সভার ঘোষণাপত্রে ৭ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলোর মধ্যে আছে- মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা, নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা সংশোধন ও কার্যকরীভাবে প্রয়োগ করা, দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপী ও অর্থ পাচারকারীদের দ্রুত শাস্তির বিধান, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরাজমান সর্বনাশা দলীয়করণ উচ্ছেদ, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আইনের দ্বারা জনস্বার্থে পরিচালনা প্রভৃতি।
সুব্রত চৌধুরী বলেন, “আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। গণফোরামকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলি, গণজাগরণ সৃষ্টি করে স্বৈরাচার, দুঃশাসন, দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া দুদিন আগেই গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, এই বর্ধিত সভার সঙ্গে গণফোরামের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বর্ধিত সভা আহ্বানকারীরা দলের গঠনতন্ত্র অমান্য করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
কামাল হোসেন আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) থেকে বেরিয়ে আসা সাইফউদ্দিন আহমেদ মানিককে সঙ্গে নিয়ে গণফোরাম গঠন করেন।
গত বছরের ৪ এপ্রিল পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলের পরে ঘোষিত কমিটিতে মন্টুকে বাদ দিয়ে রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করার পর থেকে গণফোরামে বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নেয়। কেন্দ্রীয় কমিটির সভা আহবান নিয়ে পাল্টা পাল্টি অবস্থানে দাঁড়ায় দুই পক্ষ। রেজা কিবরিয়ার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলে অন্য পক্ষের নেতারা। এক পর্যায়ে রেজা কিবরিয়া চারজনকে বহিষ্কার করেন। তারা হলেন- কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল হাসিব চৌধুরী, খান সিদ্দিকুর রহমান, হেলাল উদ্দিন ও লতিফুর বারী হামিম।
তখন সুব্রত চৌধুরীরাও পাল্টা বহিষ্কার করেন সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির মহসীন রশিদ, আ ও ম শফিকউল্লাহ ও মোশতাক আহমেদকে। পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের মধ্যে গত ৪ মার্চ গণফোরামের সভাপতি কামাল হোসেন কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিয়ে দুই সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। তিনি নিজে আহবায়ক হয়ে সাধারণ সম্পাদক করেন রেজা কিবরিয়াকে। যদিও দলের পরবর্তী কর্মকা- এগিয়ে নিতে কোন তৎপরতা ছিল না।
আজকের সভার মধ্যে দিয়ে গণফোরামের নামের আরেকটি দল গঠন করতে যাচ্ছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, ‘২৬ ডিসেম্বরের কাউন্সিলে উপস্থিত ডেলিগেটদের মতামত নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে নতুন দলের বিষয়ে।’শেষ পর্যন্ত ভেঙ্গে গেল গণফোরাম। প্রতিষ্ঠার ২৭ বছর পর দুই ভাগ হলো কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন দলটি। দলের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়াসহ চারজনকে বহিষ্কার করে আগামী ২৬ ডিসেম্বর জাতীয় কাউন্সিলের ঘোষণা দিয়েছে গণফোরামের একাংশ। এই সময়ের মধ্যে কামাল হোসেন রেজা কিবরিয়াকে বাদ না দিলে তার বিরুদ্ধেও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক বর্ধিত সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সভার সভাপতি আবু সাইয়িদ এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। এক বছর আগে দলটির সর্বশেষ কাউন্সিলের পর থেকেই অভ্যন্তরীণ কোন্দল শুরু হয়। রেজা কিবরিয়ার বিরুদ্ধে দলীয় স্বেচ্ছাচারিতা সহ নানা অভিযোগ ওঠে। যার ধারাবাহিকতায় শুরু হয় পাল্টাপাল্টি বহিস্কার। এসব ঘটনা থেকেই শেষ পর্যন্ত ভাঙনের দিকে গড়াল দলটি। যদিও এ নিয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য আসেনি সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কামাল হোসেনের পক্ষ থেকে।
তবে এই বৈঠকের আগেই কামাল হোসেনের এই দলটির সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া অবশ্য সাইয়িদদের সভা ডাকার এখতিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তুলে আসছিলেন। আমন্ত্রণ জানানো হলেও শেষ পর্যন্ত কামাল হোসেন এই বৈঠকে উপস্থি হননি।
জাতীয় প্রেসক্লাবে দলেল নির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষে বেলা একটায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে আওয়ামী লীগের সাবেত তথ্য প্রতিমন্ত্রী বর্তমান গণফোরাম কেন্দ্রীয় নেতা আবু সাইয়িদ বলেন, দলকে শক্তিশালী, গণমুখী এবং তৃণমূলে সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আগামী ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০ আমাদের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
এই জাতীয় কাউন্সিল সফল করার লক্ষ্যে এই সভা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু সাহেবকে আহ্বায়ক করে জেলা নেতৃবৃন্দসহ ২০১ সদস্যের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে দলের সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক বর্ধিত সভার সাংগঠিক সিদ্ধান্ত পড়ে শোনান। উল্লেখ্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর গণফোরামে এসে যুক্ত হন আবু সাইয়িদ।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের শৃঙ্খলা ও গণতন্ত্র অমান্য করে দলের ঐক্য ও স্বার্থ বিরোধী কর্মকা-ের জন্য সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহসীন রশিদ, আ ও ম শফিকউল্লাহ ও মোশতাক আহমেদকে সাধারণ সদস্য পদ থেকে বহিস্কারের কথা জানানো হয়।
২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে গণফোরামের পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল হয় গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে। তিন বছর পর পর জাতীয় কাউন্সিল হওয়ার বিধান থাকলেও একাংশে এক বছরে মাথায় আবার কাউন্সিল আহবান করলো।
জাতীয় প্রেস ক্লা্বরে তৃতীয় তলায় আবদুস সালাম হলে তাদের সভার টানানো ব্যানারে লেখা ছিল ‘অর্থবহ পরিবর্তনের লক্ষ্যে চাই জাতীয় ঐক্য : বর্ধিত সভা: গণফোরাম’। বিগত কমিটির নির্বাহী সভাপতি আবু সাইয়িদের সভাপতিত্বে এই বর্ধিত সভায় ৫২ জেলার ২৮৩ জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলন জানানো হয়।
বর্ধিত সভার মূল মঞ্চে ছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, সাবেক নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক, আসাদুজ্জামান, খান সিদ্দিকুর রহমান, আবদুর রায়হান, মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, ফজলুল হক সরকার, এম এ মতিন।
বর্ধিত সভার ঘোষণাপত্রে ৭ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলোর মধ্যে আছে- মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা, নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা সংশোধন ও কার্যকরীভাবে প্রয়োগ করা, দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপী ও অর্থ পাচারকারীদের দ্রুত শাস্তির বিধান, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরাজমান সর্বনাশা দলীয়করণ উচ্ছেদ, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আইনের দ্বারা জনস্বার্থে পরিচালনা প্রভৃতি।
সুব্রত চৌধুরী বলেন, “আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। গণফোরামকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলি, গণজাগরণ সৃষ্টি করে স্বৈরাচার, দুঃশাসন, দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া দুদিন আগেই গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, এই বর্ধিত সভার সঙ্গে গণফোরামের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বর্ধিত সভা আহ্বানকারীরা দলের গঠনতন্ত্র অমান্য করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
কামাল হোসেন আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) থেকে বেরিয়ে আসা সাইফউদ্দিন আহমেদ মানিককে সঙ্গে নিয়ে গণফোরাম গঠন করেন।
গত বছরের ৪ এপ্রিল পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলের পরে ঘোষিত কমিটিতে মন্টুকে বাদ দিয়ে রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করার পর থেকে গণফোরামে বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নেয়। কেন্দ্রীয় কমিটির সভা আহবান নিয়ে পাল্টা পাল্টি অবস্থানে দাঁড়ায় দুই পক্ষ। রেজা কিবরিয়ার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলে অন্য পক্ষের নেতারা। এক পর্যায়ে রেজা কিবরিয়া চারজনকে বহিষ্কার করেন। তারা হলেন- কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল হাসিব চৌধুরী, খান সিদ্দিকুর রহমান, হেলাল উদ্দিন ও লতিফুর বারী হামিম।
তখন সুব্রত চৌধুরীরাও পাল্টা বহিষ্কার করেন সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির মহসীন রশিদ, আ ও ম শফিকউল্লাহ ও মোশতাক আহমেদকে। পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের মধ্যে গত ৪ মার্চ গণফোরামের সভাপতি কামাল হোসেন কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিয়ে দুই সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। তিনি নিজে আহবায়ক হয়ে সাধারণ সম্পাদক করেন রেজা কিবরিয়াকে। যদিও দলের পরবর্তী কর্মকা- এগিয়ে নিতে কোন তৎপরতা ছিল না।
আজকের সভার মধ্যে দিয়ে গণফোরামের নামের আরেকটি দল গঠন করতে যাচ্ছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, ‘২৬ ডিসেম্বরের কাউন্সিলে উপস্থিত ডেলিগেটদের মতামত নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে নতুন দলের বিষয়ে।’
ড. কামাল হোসেনের বিষয়ে তাদের কী সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে মন্টু বলেন, ‘আমরা এখনও বিশ্বাস করি, ড. কামাল হোসেন আমাদের সঙ্গে আসবেন। বিতর্কিত লোকদের পরিহার করবেন। মাঠের পোড় খাওয়া লোকদের নিয়ে এগিয়ে যাবেন। আর তিনি না আসলে তার বহিষ্কারের বিষয়ে আমাদের সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেবো। সম্মেলনে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা আসবে। তাদের মতামত সাপেক্ষে তার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।
গণফোরাম তো বিএনপির নেতৃত্বধীন ঐক্যফ্রন্টে আছে, আপনারা কি তাহলে ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন- জানতে চাইলে মন্টু বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের বিষয়ে আমরা এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেবো না। সামনে আমাদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির মিটিং আছে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেবো।
ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে জোট করে একাদশ সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণ এবং জোটে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত দল জামায়াতের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্টু বলেন, ঐক্যফ্রন্টে জামায়াত ছিল না। আর আমি একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো বলেছিলাম কামাল হোসেনকে। কিন্তু তিনি যেহেতু দলের সভাপতি ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার নির্দেশে আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। কারণ আমি তার আদেশ অমান্য করতে পারি না সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। আর সেই নির্বাচন কীভাবে আগের রাতে হয়ে গেছে আমরা সবাই জানেন। অর্থবহ পরিবর্তনের লক্ষ্যে গণফোরাম জাতীয় ঐক্য চায় বলেও মন্তব্য করেন মন্টু।
ড. কামাল হোসেনের বিষয়ে তাদের কী সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে মন্টু বলেন, ‘আমরা এখনও বিশ্বাস করি, ড. কামাল হোসেন আমাদের সঙ্গে আসবেন। বিতর্কিত লোকদের পরিহার করবেন। মাঠের পোড় খাওয়া লোকদের নিয়ে এগিয়ে যাবেন। আর তিনি না আসলে তার বহিষ্কারের বিষয়ে আমাদের সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেবো। সম্মেলনে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা আসবে। তাদের মতামত সাপেক্ষে তার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।
গণফোরাম তো বিএনপির নেতৃত্বধীন ঐক্যফ্রন্টে আছে, আপনারা কি তাহলে ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন- জানতে চাইলে মন্টু বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের বিষয়ে আমরা এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেবো না। সামনে আমাদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির মিটিং আছে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেবো।
ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে জোট করে একাদশ সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণ এবং জোটে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত দল জামায়াতের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্টু বলেন, ঐক্যফ্রন্টে জামায়াত ছিল না। আর আমি একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো বলেছিলাম কামাল হোসেনকে। কিন্তু তিনি যেহেতু দলের সভাপতি ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার নির্দেশে আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। কারণ আমি তার আদেশ অমান্য করতে পারি না সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। আর সেই নির্বাচন কীভাবে আগের রাতে হয়ে গেছে আমরা সবাই জানেন। অর্থবহ পরিবর্তনের লক্ষ্যে গণফোরাম জাতীয় ঐক্য চায় বলেও মন্তব্য করেন মন্টু।