ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামে আত্মাহুতি দানকারী প্রথম নারী শহীদ বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জীবনী নিয়ে তৈরি হচ্ছে আরও একটি চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’। কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের উপন্যাস ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’ অবলম্বনে এটি পরিচালনা করছেন প্রদীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর মিলনায়তনে চলচ্চিত্রটির মহরত অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। ২০১৯-২০ অর্থবছরের অনুদানে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হবে।
পাহাড়তলীর ইউরোপিয়ান ক্লাবটি এখন ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা জাদুঘর’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। যদিও সেটি রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পর্যায়ের এক প্রকৌশলীর দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্রিটিশরা ১৯৪৭ সালে চলে যাওয়ার পর পাকিস্তান সরকার সেমিপাকা ঘরটি রেলওয়ের কাছে হস্তান্তর করে।
২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে ইউরোপিয়ান ক্লাবের সামনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা ভাস্কর্য’ উন্মোচন করা হয়। কলকাতার ভাস্কর গৌতম পাল তাম্র দিয়ে প্রীতিলতার এই আবক্ষমূর্তি তৈরি করেন।
পটিয়ার ধলঘাট গ্রামে সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হয়েছে প্রীতিলতা সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স। সুদৃশ্য কমপ্লেক্সের সামনে আছে বীরকন্যা প্রীতিলতার আবক্ষ ভাস্কর্য। সব কিছুর মূলে বীরকন্যা প্রীতিলতা ট্রাস্ট। এ ট্রাস্টের দাবির মুখে সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রীতিলতা সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স ভবন তৈরি করেছে।
২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর বীরকন্যা প্রীতিলতা সাংস্কৃতিক ভবন উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। ২০০৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক প্রণব মিত্র চৌধুরীর তৈরি করা প্রীতিলতার আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন করেন বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী। তিনি ট্রাস্ট ভবনেরও ভিত্তি স্থাপন করেন। এ ছাড়া বীরকন্যা স্মৃতি কমপ্লেক্সের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন ডা. দীপু মণি।