ঢাকা: সরকার পাটকলের পর দেশের চিনিকল বন্ধ করে দেওয়ার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) পলিটব্যুরোর দুদিনের ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় এ কথা উল্লেখ করা হয়।
সভাশেষে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সভার প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা হয়।
প্রস্তাবে বলা হয়, সরকার পাটকলের পর দেশের চিনিকল বন্ধ করে দেওয়ার পদক্ষেপ নিতে চলেছে। ফলে সাধারণ ভোক্তা নয়, দেশের চিনিকল শ্রমিক ও বিশাল সংখ্যক আখচাষি এবং এসব এলাকার মানুষ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
চিনিকল চালু রাখা ও আখচাষিদের স্বার্থরক্ষায় ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে আগামী ৭ অক্টোবর সারাদেশে সমাবেশ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়।
করোনা সংক্রমণরোধে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত প্রস্তাবে বলা হয়, করোনা বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গা-ছাড়াভাব, উদ্যোগহীনতা, পরামর্শক কমিটির পরামর্শ উপেক্ষা জনগণের মধ্যে অনীহাভাবের জন্ম দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে চরম অসংবেদনশীল, উদাসীনতা ও অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। এর ফলে সব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কেই জনমনে অনাস্থা সৃস্টি হয়েছে। সংক্রমণ রোধের ব্যবস্থাকে ধরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সামগ্রিক পুনর্গঠন করতে হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন পলিটব্যুরোর সভায় সভাপতিত্ব করেন। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর রিপোর্ট পেশ করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
আলোচনা করেন, পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, ড. সুশান্ত দাস, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমদ বকুল, কামরূল আহসান, আমিনুল ইসলাম গোলাপ, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম হক্কানী, হাজী বশিরুল আলম, জ্যোতি শংকর ঝন্টু, অধ্যাপক নজরুল হক নীলু, আলী আহমেদ, এনামুল হক এমরান।