এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আসরে নেই আগের সেই দৃশ্য। করোনার কারণে ফাঁকা স্টেডিয়াম, তারমধ্যে নিজস্ব গণ্ডির বাইরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজিত হচ্ছে নতুন সংস্করণ।
তবে মাঠে অভাব নেই উত্তেজনার উপস্থিতির। শুরুর মাত্র দ্বিতীয় দিনেই রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) টানটান উত্তেজনার লড়াই উপহার দিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব বনাম দিল্লী ক্যাপিটালসের ম্যাচ। শেষ পযর্ন্ত সুপার ওভারে গড়ানো শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটিতে হেরেছে প্রীতি জিনতার দল পাঞ্জাব।
দিল্লীর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে করা ১৫৭ রান টপকাতে গিয়ে পাঞ্জাবও থামে ৮ উইকেটে ১৫৭ রানে। এরপরই ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।
সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২ রান তুলতে পারে পাঞ্জাব। কাগিসো রাবাদার করা প্রথম বলে ২ রান নিয়ে পরের ডেলিভারিতে ডিপ স্কোয়ারে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন লোকেশ রাহুল। পরের বলে বোল্ড হন দিল্লীর আরেক ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান।
৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে জয়ের জন্য কোনো বেগ পেতে হয়নি দিল্লীকে। শ্রেয়াস আয়ারকে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন রিশাভ পান্ত। প্রথম বলে কোনো রান না দিলেও পরের বলে ওয়াইড দিয়ে বসেন মোহাম্মদ শামি। পরের ডেলিভারিতে ২ রান নিয়ে দিল্লীকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন পান্ত।
এর আগে দুর্দান্ত এক শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্তই উপহার দিয়েছে দু’দল। দুবাইতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া দিল্লী শেষ পযর্ন্ত অধিনায়ক অায়ারের ৩২ বলে ৩৯, উইকেটরক্ষক পান্তের ২৯ বলে ৩১ এবং মার্কাস স্টয়নিসের ২১ বলে ঝড়ো ৫৩ রানের সুবাদে ৮ উইকেটে ১৫৭ রান করে দিল্লী।
পাঞ্চাবের হয়ে ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন শামি। ২ উইকেট নেন শেলডন কটরেল।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা দারুণ করে পাঞ্জাব। ওপেনার ও উইকেটরক্ষক রাহুল ১৯ বলে ২১ রানে সাজঘরে ফিরলেও দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন আরেক ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল। কিন্তু তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পাঞ্চাবের শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার হয়ে পড়ে ১৩ রান।
ব্যাটিংয়ে ছিলেন আগরওয়াল ও ক্রিস জর্দান। বোলিংয়ে আসেন স্টয়নিস। ১৯.৪ ওভারে পাঞ্জাব ছুঁয়ে ফেলে দিল্লীর ইনিংস। কিন্তু নাটক তখনই শুরু। পঞ্চম ডেলিভারিতে পাঞ্জাবের আশার আলো আগরওয়ালকে সাজঘরে ফেরান স্টয়নিস। পরের বলে রাবাদার হাতে ধরা পড়েন জর্দান (৫)। ভেস্তে যায় ৬০ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৬ রান করা আগরওয়ালের অনবদ্য ইনিংস।